ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওনিভাইড ইনজেকশন, অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে নতুন আশার আলো

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
ওনিভাইড ইনজেকশন, অগ্ন্যাশয় ক্যানসারে নতুন আশার আলো

ঢাকা: মারাত্মক প্যানক্রিস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন আশার আলো বয়ে এনেছে ওনিভাইড নামের নতুন একটি ইনজেকশন।

জটিল অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন এই ওষুধকে সম্প্রতি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দি ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।



ওনিভাইডকে (ইরিনোটেকান লিপোসোম ইনজেকশন) ফ্লুরোরেসিল এবং লিউকোভোরিন নামের অপর দুটি ওষুধের সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

তবে কেমোথেরাপি নেয়ার পরও যেসব অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়নি শুধু সেসব রোগীর ক্ষেত্রেই ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ইনজেকশনটির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত হতে কমপক্ষে চারশ’ রোগীর ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেমোথেরাপি দেয়া হলেও এসব রোগীদের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিলো।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব রোগীর শরীরে ওনিভাইড ইনজেকশনটি ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন এর সঙ্গে দেয়া হয়েছে তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমপক্ষে ৬.১ মাস বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে যাদের ক্ষেত্রে শুধু ফ্লোরোরাসিল অথবা লিউকোভোরিন ব্যবহার করা হয়েছে তাদের আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে ৪.২ মাস। তবে শুধু ওনিভাইড ব্যবহারে কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

ওনিভাইড অগ্ন্যাশয়ের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে তাদের বৃদ্ধির হারকে শ্লথ করে দেয়। তবে ওনিভাইড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া, বমি, মাথা ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া, জ্বর প্রভৃতি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে রোগীদের শরীরে।

ওষুধটিকে বাজারজাত করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেমব্রিজের মেরিম্যাক ফার্মাসিউট্যাকালস। দেশটিতে প্রতি বছর ৪৯ হাজার জন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীকে শনাক্ত করা হয়।   আর এ রোগে বছরে মারা যায় ৪০ হাজারের ওপর মার্কিনী।

সাধারণত রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারকে শনাক্ত করা কঠিন এবং এর চিকিৎসাও অত্যন্ত জটিল।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।