ঢাকা: স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংশ্লিষ্টদের কর্মবিরতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় বেতন কাঠামোতে বেতন বৈষম্য ঘোচানোর দাবিতে কর্মবিরতি করা চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আন্দোলন করুন আর যাই করুন, কর্মবিরতি করবেন না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, রোগীদের প্রতি মানবিক থাকুন। এখন মিডিয়ার যুগ, আপনারা বিভিন্ন ফোরামে নিজেদের দাবি-ধাওয়ার কথা জানান। আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে লাভ নেই। আমরা আন্দোলন করে আসা দল। আন্দোলন ছাড়াই আপনাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন। কেবিনেটেও আপনাদের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। আপনাদের চাওয়া শেখ হাসিনা এমনিতেই পূরণ করবেন। আপনারা সেবা বাড়ান।
এদিকে এই প্রথম কোনো মন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে এলেন। কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের পরিসর বাড়ানোর দাবি জানালে মন্ত্রী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মেন্টাল হেলথ অ্যাক্ট দ্রুত পাশের ব্যবস্থা করবো। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্বব্যাপী অটিস্টিকদের সেবা-সচেতনতায় কাজ করছেন। এ বিষয়ে আমাদের আরও আন্তরিক হতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি নষ্ট থাকার কারণে চিকিৎসা যেমন ব্যহত হয়েছে, তেমনি রাষ্ট্রীয় সম্পদগুলোও নষ্ট হয়েছে।
এগুলো দ্রুত কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। যাদের গাফিলতিতে এমন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকায় এখন অনেক হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। উত্তরের মানুষকে সেবা দিতে উত্তরায় ভালো হাসপাতাল করা হবে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা রোগীদের প্রতি মানবিক থাকবেন। এক রোগী আমাকে বলছেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। তার মানে সে কিছুটা সুস্থ। আমাকে খুশি করতে এটি বলছে, যাতে তাকে ছেড়ে দেই। এ মানুষগুলো সেবা পেলে দ্রুত সুস্থ হবে।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এম এ হামিদের সভাপতি বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, স্বাচিপ মহাসচিব এম এ আজিজ প্রমুখ।
নুরুল হক বলেন, যাদের অনেক টাকা আছে তাদের চিকিৎসায় আমরা এতো বেশি চিন্তিত নই। আমরা গরীবের চিকিৎসা নিয়ে বেশি চিন্তিত। সরকারি হাসপাতালে যেন তারা সুচিকিৎসা পায়।
তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় মানসিক চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। সিজোফ্রেনিয়ার রোগী অনেক। দেশের ৭০ ভাগ লোক বিভিন্ন নেশায় আসক্ত। সমাজে নেশাগ্রস্থরাই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও অঘটনের জন্য দায়ী। ৭০'র পরে যারা বাঁচেন, তারা স্মৃতিভ্রস্টের শিকার হচ্ছেন। তাদের জন্যও মানসিক চিকিৎসক প্রয়োজন।
নুরুল হক বলেন, এখন মেন্টাল ডিজঅর্ডারের ঘটনা অনেক বাড়ছে। প্রতিটি সাবজেক্টের সঙ্গে এটি সম্পর্কিত। তাই মানসিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপক প্রসার প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এসকেএস/আরএইচএস