ঢাকা: দেশে দৈনিক লক্ষাধিক রোগীর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার চাহিদা থাকলেও বর্তমানে পাচ্ছেন মাত্র পাঁচ হাজার রোগী।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) নগরীর পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) আয়োজিত গাইনোকলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি বিষয়ক তিন দিনব্যাপী কর্মশালা ও সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
সিআরপি ফিজিওথেরাপি বিভাগের গাইনোকলজিক্যাল অ্যান্ড উইমেন হেলথ ইউনিট সেমিনারের আয়োজন করে। এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নারীদের স্বাস্থ্য
সেবায় ফিজিওথেরাপি: নারীস্বাস্থ্য রক্ষা ও জাতির উন্নয়নে’।
সেমিনারে বলা হয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানের ব্যথা, প্যারালাইজড রোগী, প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি দরকার। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের বেশি বেশি ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন। এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। দেশে এ বিষয়ক কোনো মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যারা এই পেশায় রয়েছেন তারা দেশে মর্যদা পাচ্ছেন না। ফলে ১৫০জন বাংলাদেশি
ফিজিওথেরাপিস্ট যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো উন্নত দেশে কর্মসংস্থান খুঁজে নিয়েছেন।
সেমিনারে আলোচনা সভায় আরও উঠে আসে, ২০০৯ সালে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক মহাখালীতে ফিজিওথেরাপি কলেজ উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ওই কলেজের বেহাল অবস্থা। মিরপুর সিআরপি-তে বর্তমানে দৈনিক হাজারও মানুষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেন, এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যা গর্ভবতী মা ও প্রতিবন্ধী।
বক্তারা বলেন, অনেকেই বলে থাকেন গর্ভবতী মায়েদের আবার ব্যায়ামের কি দরকার? কিন্তু ফিজিওথেরাপির ফলে গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা সঙ্গে সঙ্গে নিরসন হয়।
বাংলাদেশে সম্প্রতি গাইনোকোলজিক্যাল ফিজিওথেরাপি শুরু হলেও বিশ্বে এটি স্বাস্থ্য সেবায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে। দেশে এই চিকিৎসা প্রসারে সরকারি পদক্ষেপ দরকার, যোগ করেন বক্তারা।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ফিজিওথেরাপিস্ট ও নারীস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. এনা ভেস্তারগার্ড, সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ড. ভেলরি এ টেইলার, সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম, হেড অব প্রোগ্রামার সোহরাব হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৬
এমআইএস/আরএইচএস/এটি