ঢাকা: শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন দৈহিক ও মানসিক রোগে।
এক একটি পুষ্টি উপাদানের কার্যক্ষমতা একেক রকম। তবে দেহ বিকাশে এগুলোর প্রতিটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। রান্নাঘরের দৈনন্দিন সহজলভ্য কিছু উপাদান থেকেই এসব পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।
লোহা
শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্রেইন ফুড হিসেবে পরিচিত। গবেষণায় দেখা গেছে, লোহার অভাবে শিশুদের মানসিক বিকাশ ও শেখার ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর অভাবে অ্যানিমিয়া হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রচুর ক্লান্তিবোধ অনুভূত হয় ও মনোযোগ ব্যাহত হয়।
উৎস: লাল মাংস, কলিজা, তেলযুক্ত মাছ, ডিম, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, স্ট্রবেরি ইত্যাদিতে প্রচুর লোহা পাওয়া যায়।
ম্যাগনেসিয়াম
ম্যাগনেসিয়ামের কাজ হলো আমরা যেসব খাবার খাই তা থেকে শক্তি উৎপাদন করা। এটি হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। হরমোন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ এ উপাদানটি ভালো হৃৎস্পন্দন বজায় রাখে।
উৎস: সবুজ শাক-সবজি, বাদামি চালের ভাত, শস্যদানা, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার ম্যাগনেসিয়ামের উত্তম উৎস।
পটাশিয়াম
শরীরের প্রতিটি কোষ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য পাটাশিয়াম প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পটাশিয়াম শরীরের তরল পদার্থকে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হৃৎপিণ্ড ও পেশিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
উৎস: ডাল, বাদাম, দুধ, মাছ, গরুর মাংস, মুরগির মাংস, রুটি ও কলা ইত্যাদি।
জিঙ্ক
শিশুর বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি নতুন কোষ ও এনজাইম তৈরি করে। জিঙ্ক কার্বোহাইড্রেটকে প্রক্রিয়াজাত করে। ভাইরাস ও জীবাণু থেকে শিশুকে রক্ষা করে।
উৎস: মাংস, মটরশুটি, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৬
এসএমএন/এসএস