ঢাকা: বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। এর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় শতকরা ১০ ভাগ রোগী এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেন না।
শনিবার (০৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে ‘শিশুদের কিডনি রোগের শুরুতে প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় এ তথ্য জানানো হয়।
কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির এ বৈঠকের আয়োজন করে।
এ বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ল্যাব এইড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটির সভাপতি ড. এমএ সামাদ।
বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগের হার অত্যন্ত বেশি। বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না ভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়। এর বিকল্পে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয় বহুল হওয়া শতকরা ১০ ভাগ রোগী এ চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। অর্থের অভাবে অকালে প্রাণ হারান সিংহভাগ রোগী।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ৬৮ ভাগ মৃত্যু ঝুঁকি কমানো সম্ভব। নিয়মিতভাবে সঠিক জীবনপদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
নিয়মগুলো হলো প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলমূল খাওয়া ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা।
বৈঠকে অংশ নেন, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আরশাফ হোসেন লিপু ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফরউল্লাহ চৌধুরী ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাপস্থাপক মো. শফিকুল রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৬
ইএসে/এএটি/আরআই