বরিশাল: প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছর পর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়-শেবাচিম) হাসপাতালে চালু করা হলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)।
বুধবার (২৩ মার্চ) প্রথমবারের মতো শেবাচিমে পরীক্ষামূলক ভাবে এ ইউনিটটির কার্যক্রম চালিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়।
বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলে অত্যাধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ হাসপাতাল। ১৯৬৮ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর এ অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
তবে আধুনিক সেবার ধারাবাহিকতায় এ হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট না থাকায় শূন্যতা রয়েই যায়।
শেবাচিমের পরিচালক ডা. এস এম সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আইসিইউ না থাকায় এ অঞ্চলের রোগীদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেখানে রোগীর পেছনে খরচ বাড়ছে আবার মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। সে কারণে এ অঞ্চলের মানুষের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালু যেন গণমানুষের প্রাণের দাবি হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, সরকারের দৃঢ় মনোবলের কারণে আজ এটি চালু করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি জানান, সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সারফুজ্জামান রুবেল’র তত্ত্বাবধানে বুধবার বেলা ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে পরীক্ষা মূলকভাবে আইসিইউ কার্যক্রম চালু করা হয়।
প্রথম দিনে বার্ন ইউনিটে অজ্ঞান অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকা এক দগ্ধরোগীকে বেলা ১২টার দিকে আইসিইউ (ভেন্টিলেশন) সেবার আওতায় আনা হয়। বিকেল ৩টার নাগাদ ওই রোগীকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়।
রোগীকে এখন নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে। তার অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভালো। তাছাড়া পরীক্ষামূলক বিধায় রোগীকে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হয়নি।
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ইউনিট অতিদ্রুত চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইউনিটটি পরিচালনার জন্য বর্তমানে দু’জন চিকিৎসক ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ৫জন নার্স রয়েছেন। আরো ১০জন নার্স আইসিইউ’র উপর বর্তমানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
হাসপাতালের মূলভবনের পূর্বপাশে দোতলা ভবনের নীচতলায় বার্ন ইউনিটের পাশে ১০শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিটটি চালুর ১০টি আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর এবং রোগী মনিটরসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ইতিপূর্বে সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৬
এসএইচ