ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রামেকে চিকিৎসকের ওপর হামলা, সেবা কার্যক্রম বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
রামেকে চিকিৎসকের ওপর হামলা, সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসকের অবহেলায় শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে (ইন্টার্ন) মারপিট করেছেন রোগীর স্বজনরা। এ সময় হাসপাতালে ভাঙচুরও চালায় তারা।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনায় হাসপাতালে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার পর থেকে বেলা ৩টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামেক হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সোনালী ব্যাংক লক্ষ্মীপুর শাখায় কর্মকর্তা সিবিএ নেতা ও মহানগর শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। মোশাররফের বাড়ি মহানগরীর টিকাপাড়া এলাকায়।

চিকিৎসকের অবহেলায় মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন এই অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে। এ সময় হাসপাতালের জানালার গ্লাসও ভাঙচুর করে তারা। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ।

হামলার ঘটনার পরে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা ফেলে জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা জরুরি বিভাগে ভাঙচুর করেন।
 
পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে, রোগীর স্বজনরা এ সময় মার‍মুখী আচরণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশের সঙ্গে রোগীর স্বজনদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
 
মোশাররফকে গত ৮ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে মহানগরীর জমজম ক্লিনিকে তার কিডনির পাথর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন মোশাররফ।

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারপিট করার পরে তারা চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে বেলা সোয়া ২টার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া জোনের সহকারী কমিশনার ইফতেখার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, একজন রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬/আপডেট ১৫৫৬
সএস/এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।