ঢাকা: জনপ্রিয় ফল আনারস খাওয়া ছাড়াও ফ্রুট সালাদ, জুস ও ডেজার্টে ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের বিভিন্ন প্রকার রোগ থেকে বাঁচায়।
ক্যানসার প্রতিরোধক– এন্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ আনারাস ফ্রি রেডিক্যালস ধ্বংস করে ও সেল ড্যামেজ রোধ করে। এটি অথেরোস্ক্লেরোসিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস ও বিভিন্ন প্রকার ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করে।
প্রদাহ ও ইনফেকশন – আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি ও ব্রোমেলিন। এই এনজাইমগুলো প্রোটিন ভাঙে ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা তৈরি করে। তাই ঠাণ্ডা-কাশিতে প্রচুর পরিমাণে আনারস খান।
শক্তিশালি হাড় গঠন – এতে রয়েছে উচ্চমানের ম্যাঙ্গানিজ যা হাড় গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এক কাপ আনারসের জুসে রয়েছে ৭৩ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ।
চোখ ও দৃষ্টিশক্তি – বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় আনারস চোখের জন্য ভালো। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আনারস খান।
সুস্থ হৃৎপিণ্ড – এন্টি-অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ বলে আনারস ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে ও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
ভালো হজম– এতে রয়েছে ব্রোমেলিন, ভিটামিন সি ও ফাইবার যা হজমক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – যাদের হাইপারটেনশন রয়েছে তারা নিয়মিত আনারস খান। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ও সোডিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
ব্রণ ও দাগ – আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ডার্ক স্পট ও ব্রণ দূর করে একইসঙ্গে ত্বকের টোন উন্নত করে। স্কিন টাইটনিংয়েও আনারসের জুড়ি নেই।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩২ ঘণ্টা, মে, ২০১৬
এসএমএন/এএ