ঢাকা: ‘সুস্থতায় শুদ্ধতায় মানসিক প্রশান্তি’ স্লোগানে মালয়েশিয়া হেলথকেয়ার ট্রাভেল কাউন্সিলের (এমএইচটিসি) মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়েছে। মালয়েশিয়ায় মানসম্পন্ন ও সূলভ চিকিৎসা সেবার সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে প্রচারণার অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এমএইচটিসির এ কার্যক্রমের অংশীদার গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স কোম্পিানির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জিডি অ্যাসিস্ট।
শুক্রবার (০৬ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহাম্মদ তায়িবের বেলুন উডিয়ে ‘ফান রান ম্যারাথন’ প্রতিযোগিতা উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় কার্যক্রম। ব্যতিক্রমী এই দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় একশ স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় রোবায়েত, হোসেন মোহম্মদ ও প্রীতম নাগ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
তিন বিজয়ীকে আয়োজকদের পক্ষ হতে পাঁচ হাজার, তিন হাজার ও দুই হাজার টাকা ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়া অংশগ্রহনকারী সকল প্রতিযোগিকে স্মারক হিসেবে মেডেল দেওয়া হয়। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিডি অ্যাসিস্টের চেয়ারম্যান নাসির এ চৌধুরী, পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মইনুদ্দিন আহমেদ, এমএইচটিসের বিপনণ কর্মকর্তা মেগাত আরদিয়ান আমিনউদ্দিন, আঞ্চলিক বিপনণ কর্মকর্তা কাভিথা ম্যাথুভি প্রমুখ।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শেষে ইন্দিরা রোড ক্রীড়া চক্র মাঠে সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নূর আশিকিন মোহাম্মদ তায়িব বলেন, ‘মালয়েশিয়া দূতাবাস এই স্বাস্থ্যসেবা কর্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। পর্যটনের পাশাপাশি মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যখাত এখন অনেক উন্নত। হাসপাতলগুলো সেবা গ্রহীতাদের নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য বাংলাদেশি নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় স্বাগত।
আয়োজনের নানা দিক তুলে ধরে এমএইচটিসের বিপনণ কর্মকর্তা মেগাত আরদিয়ান আমিনউদ্দিন বলেন, গেল বছর মালয়েশিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিক সেবা গ্রহণ করেছে। আমরা চাই আরও বেশি মানুষ মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করুক। মুসলিম দেশ হিসেবে হালাল খাবার ও অন্যান্য পরিসেবার বাইরে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবার জন্য মালয়েশিয়া প্রস্তুত। আর এসব নিয়েই আমাদের এই কার্যক্রম। ফান ম্যারাথন প্রতিযোগিতার বাইরেও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ও বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আমরা মাসব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে নানা আয়োজন করব।
জিডি অ্যাসিস্টের চেয়ারম্যান নাসির এ চৌধুরী বলেন, দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে আমাদের দেশের অনেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেন। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বমান ও স্বল্পব্যয়ের কারণে মালয়েশিয়া হতে পারে আমদের ভরসার জায়গা।
জিডি অ্যাসিস্টের পরিচালক ফারজানা চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা এমএইটিসির সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়েছি। জিডি অ্যাসিস্ট মালয়েশিয়ায় চিকিৎসা সেবা নিতে আগ্রহীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, থাকার ও যাতায়াত ব্যবস্থাসহ নানা ধরনের সেবা দিয়ে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আয়োজকরা।
এ আয়োজনের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল রক্তচাপ মাপাসহ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৬
এসজেডএম