ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সিরাজগঞ্জে ৩৬ অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
সিরাজগঞ্জে ৩৬ অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফার.কম

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় নারী ও শিশুসহ অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) আক্রান্ত ৩৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গরু ও ছাগলের মাংস কাটা ও খাওয়ার কারণে তারা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ‍জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য ও প্রাণি সম্পদ বিভাগ।

গত দুই সপ্তাহ ধরে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ও কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

এরইমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর রোগতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধিদল আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে রোগটি অ্যানথ্রাক্স বলে নিশ্চিত করেছে। তারা পরীক্ষার জন্য আক্রান্ত পশুর মাংস ও নমুনা নিয়ে গেছেন।

অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তেরা হলেন কামারখন্দের জামতৈল গ্রামের আদেল প্রামাণিক (৪৫), জাকির (৪০), ছালাম শেখ (৪৫), শফিকুল ইসলাম (৪২), হোসনেয়ারা (২৫), রুবেল (১৫), ছালেকা (১৪), রাবেয়া (১২), রফিক (৩৫), আলম আকন্দ (৩৬), সনেকা (৩০), বানী খাতুন (২৮), শাহিদা (৩০), সোহান (১২), কছির আলী (৬০), সাহেরা (৪৫), আসান শেখ (৪৫), লিলি বেগম (৫৬) ও আর্জিনা (৩)।

এছাড়া শাহজাদপুর উপজেলার চর কৈজুরী গ্রামের মোজাম্মেল (৫০), মোছা. বিউটি (৩২), পূর্ব চর কৈজুরীর আজিম প্রাং(৪৮), নাজমা (৩৫), জাফর আলী (৩২), পারুল (১৬), উজ্জল (১০), জহির প্রাং (২৭), মহির প্রাং (৩০), বড় বাছড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম (৩০), হাওয়া বেগম (২৪), রিদয় ইসলাম (১১) ও জয়পুর গ্রামের শফিক (২০), সেলিম (১২) এবং জুয়েল (১০)।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার ডা. ইমান আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় এক মাসের ব্যবধানে শাহজাদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের ৩/৪টি গ্রামে অসুস্থ ষাড় ও ছাগল জবাই করার পর ওই এলাকায় এ রোগ দেখা দেয়। এছাড়া তিনটি অসুস্থ গরু জবাই করে খাওয়ায় কামারখন্দের জামতৈল এলাকায় এ রোগ দেখা দিয়েছে।

তিনি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম আক্রান্ত এলাকায় কাজ করছে। তারা আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ ও জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিলি করছেন।

জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রাণি সম্পদ বিভাগ জেলাব্যাপী রিং ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এছাড়া অসুস্থ প্রাণি জবাই ও খাওয়া বন্ধ, মৃত গরুকে ৬ ফুট মাটির নিচে পুঁতে রাখাসহ জনসচেতনতা তৈ‍রিতে প্রশিক্ষণ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।