ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হোমিওপ্যাথি খাতে ৩০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
হোমিওপ্যাথি খাতে ৩০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোেয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী বাজেটে হোমিওপ্যাথি খাতে ৩০ শতাংশ বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। পাশাপাশি বোর্ডের বার্ষিক অনুদান কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা রাখারও প্রস্তাব করেছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের রেজিস্ট্রার কাম সেক্রেটারি ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়।

এ সংবাদ সম্মেলনে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ১৬ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ হোমিও পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা নিলেও এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র দশমিক ০৭ শতাংশ।

তাদের দাবি, এ চিকিৎসা পদ্ধতিতে নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়ে ক্যানসার, হৃদরোগ, প্যারালাইজড ও টিউমারসহ জটিল অনেক রোগের নিরাময় হচ্ছে। বরাদ্দ বাড়ানো হলে আরো বেশি লোকের সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়- চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে না। জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটে মোট বরাদ্দ ১২ হাজার ৭২৫ কোটি টাকা হলেও হোমিওপ্যাথি খাতে মোট বরাদ্দ মাত্র ৯ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। শতকরা হারে মাত্র দশমিক ০৭ শতাংশ, যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য ও অপ্রতুল। এর মধ্যে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অনুকূলে মাত্র তিন কোটি ছত্রিশ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অনুকূলে বরাদ্দ পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

১৬ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে- হোমিও শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে জাতীয় স্বাস্থ্য বাজেটের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ  বরাদ্দ রাখা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের নিয়মিত বার্ষিক অনুদান কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে সরকারি হাসপাতাল, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে বিএইচএমএস (ডিগ্রি) ও ডিএইচএমএসে (ডিপ্লোমা) হোমিও চিকিৎসকদের নিয়োগ করা, বোর্ড স্বীকৃত বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলোকে এমপিওভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা এবং বেসরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল ও হাসপাতালে কর্মরত শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা সুবিধা প্রদান, এইচপিএনএসপি ও এইচপিএনএসডিপি প্রকল্পের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ও শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ, জাতীয় পর্যায়ে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা, বিভাগীয় পর্যায়ে একটি করে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করাসহ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা ও প্রয়োজনীয় জনবল সৃষ্টি করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বোর্ড সদস্য ডা. খন্দকার আনিছুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক বোর্ড সদস্য ডা. কামারুজ্জামান ভূঁঞা, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এসএএম রেজা-উর রহিম, মহাসচিব ডা. মাহবুব হাফিজ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি, সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ কাদের, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল গ্র্যাজুয়েট অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. আশিষ শংকর নিয়োগী, বাংলাদেশ ডিএইচএমএস ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শেখ মো. ইফতেখার উদ্দিন, মহাসচিব ডা. ফারুক আহম্মেদ মজুমদার, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আক্তার-উজ-জাহান পুলক, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এসকে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।