ঢাকা: বাংলাদেশে ৫.৪ শতাংশ লোক হেপাটাইটিস বি এবং ০.৮ শতাংশ লোক হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার -এর চেয়ারম্যান ডা. মামুন আল মাহতাব।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস- ২০১৬ উপলক্ষ্যে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ, ডিজিজ কন্ট্রোল ইউনিট, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ফোরাম ফর দি স্টাডি অব দি লিভার বাংলাদেশ এবং ভাইরাল হেপাটাইটিস ফাউন্ডেশন।
ডা. মামুন আল মাহতাব বলেন, দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ লাখ লোক এ রোগে মারা যায়। লিভারজনিত এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল। হেপাটাইটিস বি -এর চিকিৎসায় প্রতি বছর যে অর্থ ব্যয় হয় তা দিয়ে প্রতি পাঁচ বছরে একটি পদ্মা সেতু বানানো সম্ভব।
বৈঠকে ডা. মামুন আল মাহতাব জানান, বাংলাদেশে লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস। তাই এ রোগ সম্পর্কে দেশব্যাপী প্রচারণা চালাতে হবে।
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের গবেষণায় দেশের লিভার বিশেষজ্ঞদের অবদানের প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘ভাইরাল হেপাটাইটিস নির্মূলের লক্ষ্য অর্জনে বিএসএমএমইউ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাবে। এক্ষেত্রে দেশের লিভার বিশেষজ্ঞদের অবদান অপরিসীম। ’
অ্যাসোসিয়েশন ফর দি স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক সেলিমুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি ডা. ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শেখ মোহাম্মদ নূর-ই-আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিজ কন্ট্রোল ইউনিটের পরিচালক অধ্যাপক একেএম শামসুজ্জামান, ভারতের যশোদা ইনস্টিটিউট অব লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অ্যান্ড হেপাটোবিলিয়ারি ডিজিজেজ এর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বিভাগের প্রধান ডা. পি. বালাচন্দন মেনন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা,জুলাই ২৮,২০১৬
এসজে/আরআই