ঢাকা: সাম্প্রতিক গবেষণায় বিভিন্ন ফল ও সবজির সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আকৃতি ও গড়নের মিল পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, দেহের যেসব অঙ্গের সঙ্গে যেসব খাবারের আকৃতির মিল রয়েছে, ঐসব খাবার ওই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য আদর্শ।
কেবল আধুনিক গবেষণা নয়, ‘দ্য ডকট্রিন অব সিগনেচারস’ প্রাচীন ইউরোপিয়ান দর্শনেও উল্লেখ রয়েছে, উদ্ভিদ, প্রাণী ও খনিজ প্রায়ই তাদের আকৃতি, গঠন ও কার্যকারিতার মধ্যে সংকেত ধারণ করে। তা নিভৃতে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করে।
একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয়েছে এমনই ১২টি খাবারের কথা, যার সঙ্গে আমাদের দেহাংশের মিল রয়েছে।
রেড ওয়াইন: রক্ত
উন্নত এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলযুক্ত রেড ওয়াইন কোষক্ষয় রোধ করে। রেড ওয়াইন রক্ত থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল অপসারণ করে। যা স্ট্রোক ও হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
কলা: হাসি
কলাতে রয়েছে ট্রিপটোফেন নামক একটি প্রোটিন। যা হজমের মাধ্যমে নিউরোট্রান্সমিটারে সেরেটোনিন হরমোনে রূপান্তরিত হয়। সেরেটোনিন মস্তিষ্কের মুড রেগুলেটিং কেমিক্যাল। এ হরমোন আমাদের হাসি-আনন্দ নিয়ন্ত্রণ করে।
অ্যাভোকাডো: জরায়ু
অ্যাভোকাডো ফলিক অ্যাসিডের অসাধারণ উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব নারী সপ্তাহে একটি অ্যাভোকাডো খান তাদের প্রি-ক্যানসারাস সার্ভিকাল ডিসপালাসিয়া হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। মজার ব্যাপার হলো। অ্যাভোকাডোর ফুল থেকে শুরু করে ফল পাকা পর্যন্ত সময় লাগে দীর্ঘ নয় মাস। যা একটি গর্ভকালের সমান।
আঙুর: ফুসফুস
ছোট ছোট শ্বাসনালীর শাখা আমাদের ফুসফুস গঠিত। ফুসফুসের গঠন এক ছড়া আঙুরের মতো। আঙুরের মতো ফল ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। আঙুরের বিচি প্রোয়ানথোসায়ানিডিন নামক একটি কেমিক্যাল বহন করে যা অ্যালার্জিজনিত কারণে অ্যাজমায় আরাম দেয়।
আদা: পাকস্থলী
দুই হাজার বছর ধরে পাকস্থলী শান্ত রাখতে এ হারবাল উপকরণটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগরিকালকার্স ডাটাবেস অব ফাইটোকেমিক্যাল অাদায় একটি উপাদান খুঁজে পেয়েছে যা বমিভাব দূর করে।
মাশরুম: কান
মাশরুমের অর্ধেকটা দেখতে কিছুটা কানের মতো। খাবারে মাশরুম যোগ করলে শ্রবণশক্তি উন্নত হয়। স্বল্প সংখ্যক ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে মাশরুম একটি যা হাড় গঠনের অন্যতম মূল উপাদান।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৬
এসএমএন/এএ