ঢাকা: বাংলাদেশে এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন হচ্ছে এবং উৎপাদন পরিবেশ সবার সেরা। আর তাই তো বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধের বাজারে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রফতানি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী অাবুল মাল অাবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ পৃথিবীর ৫০টিরও বেশি দেশে যাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইউএসএফডিএ) কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া একটি অনন্য সাফল্য। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প তাদের মানের প্রমাণ রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের ওষুধের এখন যে বিশ্বমান, সেটি ধরে রাখতে হবে।
দেশেই ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া সম্পন্নের ব্যবস্থাপনা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে হাইপারটেনশনের ওষুধ কার্ভোডিলল রফতানি শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। এর অাগে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে প্রোডাক্ট অ্যাপ্রুভাল লাভ করে কোম্পানিটি। দেশের প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রফতানি শুরু করলো বেক্সিমকো।
অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, এর আগে অামাদের অনেক ধরনের পণ্য আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করেছে। প্রথমবারের মতো ওষুধ প্রবেশ করছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধের বাজার, যেখানে অনেক নিরীক্ষার পর পণ্য প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের জন্য এটি যেমন বড় সুযোগ, তেমনি বড় চ্যালেঞ্জও। ম্যানুফেকচারিংয়ের মানের বিষয়টিও এক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হয়।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধির প্রকৃত বিজয়ী ভোক্তারা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তারা এখন জীবন বাঁচানো ওষুধ কিনতে পারবেন। যে বোতলের গায়ে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।
** ওষুধের গায়েও লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৬
এমএন/আইএ