ঢাকা: হাইপোথাইরয়েডিজম একটি ব্যাধি। যখন থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করতে পারে না তখন এটি হয়।
কেন হয়
হাইপোথাইরয়েডিজমের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। থাইরয়েডে দীর্ঘকালীন প্রদাহ, ওষুধের প্রভাব, অতিরিক্ত বা অনেক কম আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
প্রাথমিক লক্ষণ
হাইপোথাইরয়েডিজম ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বলে লক্ষণ অনেকক্ষেত্রে নজরে আসে না। কিছু সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে- ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি, মুখ ফুলে যাওয়া, ঠাণ্ডা সহ্য করতে না পারা, পেশি ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ত্বকের শুষ্কতা, চুল ভেঙে যাওয়া ও পড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, ভারী বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব, বিষণ্নতা ও হৃৎস্পন্দন কমে যাওয়া।
কারা ঝুঁকিপূর্ণ
পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকিতে রয়েছেন। ষাটোর্ধ্ব নারী-পুরুষের এ রোগটি বেশি দেখা দেয়। আগে থেকে থাইরয়েড সমস্যা থাকলে, থাইরয়েডের সার্জারি, পরিবোরের কারও হলে, টাইপ-১ ডায়াবেটিস ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস থাকলে হাইপোথাইরয়েডিজম হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজম ও প্রেগন্যান্সি
এক হাজার গর্ভবতীর মধ্যে তিন থেকে পাঁচজনের হাইপোথাইরয়েডিজম হয়। থাইরয়েডে দীর্ঘকালীন প্রদাহ থেকে এটি হয়। ফলে সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এটি মিসক্যারেজ, অপরিণত প্রসব, খাবারে অভুক্তি ও রক্তচাপ বেড়ে যওয়ার কারণ হতে পারে।
চিকিৎসা
হাইপোথাইরয়েডিজম শনাক্ত করতে প্রথমে আল্ট্রাসেনসেটিভ টিএসএইচ পরীক্ষা করা হয়। ডাক্তাররা রোগীর বয়স ও অবস্থা বুঝে থাইরয়েড হরমোন টি৪ এর সিনথেটিক ফরম দিয়ে থাকেন। লক্ষণগুলো উপলব্ধি করলে তা নোট করে যতদ্রত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এসএমএন/এএ