ঢাকা: বাড়তি ওজন সবসময়ই একটি বাড়তি ঝামেলা। অনেকেই ওজন কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম ও ডায়েট করেন।
হরমোনে ভারসাম্যহীনতা
আপনি যদি প্রায়ই দুর্বলতা বোধ করেন, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম থাকে বা মিনস্ট্রুয়াল সাইকেল ইরেগুলার হয় তাহলে ওজন কমানো খুব কষ্টকর হতে পারে। তারপর মানসিক ব্যাপার যেমন- স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা ও মানসিক অবসাদ থাকলে বুঝতে হবে আপনার হরমোনে ভারসাম্য নেই। এ ক্ষেত্রে ভালো হয় যদি কোনো অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া যায়।
পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর অভাব
ভিটামিন ডি’র সঙ্গে ওজন বাড়া ও কমার সম্পর্ক রয়েছে। এর অভাবে শরীরের ওজন বাড়ে। আপনি যদি বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতরে থাকেন তাহলে ডাক্তারের কাছে ভিটামিন ডি’র ঘাটতি রয়েছে কিনা পরীক্ষা করে নিন।
ব্যায়ামকে উপভোগ করুন
ওজন কমাতে ওয়ার্কআউট ও ইয়োগা তখনই কাজ করবে যখন আপনি তা উপভোগ করবেন। এছাড়া নিয়ম মানতে ব্যায়াম করলেও কোনো লাভ হবে না।
পাচন ও শোষণের অসামঞ্জস্যতা
কী খাচ্ছেন সেটা কথা না, শরীর কী পরিপাক করছে ও শুষে নিচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে আপনার ওজন ও সুস্থতা।
খাবার ভালোভাবে না চিবানো
ওজন কমাতে ও ভালোভাবে পরিপাক করতে গলে যাওয়া পর্যন্ত খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব
অতিরিক্ত ঘুম ও অপর্যাপ্ত ঘুম দুটোই মুটিয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। ডাক্তাররা বলেন, ঘুম= শরীর মেরামত। পর্যাপ্ত ঘুম শরীরকে সঠিকভাবে পরিচালিত করে।
ওজন সচেতন নয়, হোন স্বাস্থ্য সচেতন
ওজন কমাতে মানসিক ব্যাপারটিও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি কেবল ওজন নিয়ে চিন্তিত হন তাহলে আপনার ডায়েট কাজে লাগবে না। যদি স্বাস্থ্য সচেতন হন তাহলে আপনি সঠিক খাবার ও জীবন পদ্ধতি বাছাই করতে পারবেন। যেটা সবচেয়ে বেশি কাজে দেবে।
প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ফ্যাটের অভাব
ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় প্রোটিন খেতে হবে। উপরন্তু এটি আমাদের সঠিক ওজন ধরে রাখতে ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে ভালো ফ্যাট যেমন, বাদাম, অ্যাভোকাডো, তিল ইত্যাদি খেতে হবে। এসব ভালো ফ্যাট শরীর থেকে এলডিএল কোলেস্টরল কমায় ও সুস্থ রাখে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৬
এসএমএন/এএ