ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চাষের সময়ই খাবারে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
চাষের সময়ই খাবারে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চাষের সময়ই খাবারে সবচেয়ে বেশি রাসায়নিক মিশ্রণ দেওয়া হয়।   উৎপাদন ও বিপণনের তিনটি পর্যায়ের খাদ্যের নমুনা বিশ্লেষণ করে মিশ্রণের এ পর্যায়টি চিহ্নিত করা হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. এ বি এম জাফর উল্লাহ খাবারে রাসায়নিক মিশ্রণের এ বিষয়টি অবহিত করেছেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে গত এক বছরে খাবারের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি জানানো হয়।

জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট কৃষক এবং পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিটি উপাদানের ২৭টি নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে। এতে ফল, সবজি, শুঁটকি, মুড়ি এবং গুড়া মরিচ ও অন্যান্য গুড়া মশলাসহ ৪০ ধরনের খাদ্যের ৪০৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এসব খাদ্যে ৪৩ ধরনের অর্গান ফসফরাসের উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। শুঁটকিতে অর্গানোক্লোরিনের পেস্টিসাইডের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়।

খেঁজুর, আঙ্গুর ও আমে ফরমালিন, মুড়িতে ইউরিয়া এবং হলুদ ও মরিচে আফলাটক্সিন এবং সুদান রেডের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়।

৩২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৭টি নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিকের উপাদান পাওয়া গেছে, যা ১৪ দশমিক ২ শতাংশ।   এসব খাদ্যের মধ্যে ৩৪ শতাংশ ডাইমেথোট, ৩২ শতাংশ কুইনালফোস, ১৭ শতাংশ ক্লোরোপাইরোফস এবং মেলাথিওন, এথিলফেনিইনিট্রফেনি, ইথোপ্রোফস এবং মেটালিক্সির উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এসব নমুনার মধ্যে কিছু খাদ্যে বিপদজনক মাত্রায় রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আম, আঙ্গুর এবং খেঁজুরের সবগুলো নমুনাতেই ফরমালডিহাইটের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও সেগুলো আর্ন্তজাতিক স্কেলে বিপদজনক মাত্রায় ছিল না।

বিশেষত গুড়া মরিচের ৩টি নমুনার পরীক্ষায় অবৈধ রং সুদান রেড এবং ২টি নমুনায় আফ্লাটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত এ জরিপের তত্ত্বাবধান করেন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ফুড সেফটি ল্যাবরেটেরির প্রধান অধ্যাপক ড. শাহনীলা ফেরদৌস।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৬
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।