জন্মের সময় এত ক্ষুদ্র একটি দেহ নিয়ে বিশ্বে আর কেউ আসেনি। মেয়েটির নাম এমিলিয়া।
তবে চিকিৎসকরা তার নাম দিয়েছেন ক্ষুদে যোদ্ধা। সেই নাম নিয়েই বুঝি সবাইকে বিষ্মিত করে দিয়ে মেয়েটি বেঁচে গেছে। এখর তার ওজন ৭ পাউন্ড। নয় মাসে তার যতটুকু ওজন হলো ঠিক এই টুকু নিয়েই জন্ম হয় একটি শিশুর।
ধারনা করা হচ্ছে এমিলিয়াই বিশ্বের সবচেয়ে অপরিপক্ক মানব সন্তান হয়ে ক্ষুদ্রতম শরীর নিয়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। আর বেঁচেও গেছে।
এর আগে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলো রুমাইসা রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর লোয়োলা ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে জন্ম হয়েছিলো রুমাইসার। তখন তার মায়ের গর্ভের বসয় ছিলো মাত্র ২৫ সপ্তাহ। রুমাইসার জন্ম হয়েছিলো ৮ ইঞ্চি লম্বা আর ৮.৬ আউন্স ওজনের একটি শরীর নিয়ে।
জার্মানির সেন্ট মেরি হসপিটালের চিকিৎসক ও শিশু বিভাগের প্রধান ড. বাহমান ঘারাভির মতে এমিলিয়ার বেঁচে যাওয়া একটি মিরাকল।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এটটা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৪ আউন্স ওজন নিয়ে জন্মানো শিশুকেই বাঁচানো দুষ্কর। সেখানে মাত্র আট আউন্স নিয়ে জন্ম নিয়ে টিকে যাওয়া... এটা অবিশ্বাস্য।
তবে চিকিৎসকরা নন, এ জন্য সকল কৃতিত্ব এমিলিয়ার নিজের। সে এক ক্ষুদে যোদ্ধা, বলেন এই চিকিৎসক।
ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে। এতদিন কিছুটা ভাবাও যেতো না। কিন্তু এখন ভালোর দিকেই এগুচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯ ২০১৬
এমএমকে