ঢাকা: বাংলাদেশ এখন টিটেনাসমুক্ত। আগামী বছর (২০১৭ সাল) কালাজ্বর মুক্তের স্বীকৃতিও মিলবে।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত ৫ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিসে জাহিদ মালেকের কাছে টিটেনাস সংক্রমণ নির্মূলের সনদ হস্তান্তর করা হয়।
মা ও নবজাতকের টিটেনাস (এমএনটি) সংক্রমণ নির্মূলে সাফল্যের জন্য হু’র মর্যাদাপূর্ণ এ স্বীকৃতি অর্জন করে বাংলাদেশ।
প্রসবকালীন অপরিচ্ছন্নতা ও নাভি রজ্জুর যত্নের অভাবে মেটারনাল অ্যান্ড নিওনেটাল টিটেনাস (এমএনটি) প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। এতে মৃত্যুর হারও খুব বেশি। বিশেষ করে এ সময়ই টিটেনাসের বিস্তার ঘটে। তবে যথাযথ চিকিৎসা হলে টিটেনাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা যায়, জানান প্রতিমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রসব এবং নাভি রজ্জুর যত্ন নেওয়া হলে ও মায়েদের টিটেনাসের ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই এমএনটি প্রতিরোধ করা যায়। এটি সাশ্রয়ী ও অত্যন্ত কার্যকর।
এমএনটি প্রতিরোধে সাফল্যের জন্য হু’র সার্টিফিকেট গ্রহণের পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এমএনটি নির্মূল আমাদের জন্য একটি বিরাট সাফল্য।
জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য রোগের কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু আরো কমিয়ে আনতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ কালাজ্বর নির্মূলের স্বীকৃতিও পাবে। টানা তিন বছর একজনও কালাজ্বর রোগী না পেলে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ২ বছর পেরিয়েছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী অসংক্রামক ব্যাধি নিরসনে এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেজিট্যান্স নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএন/জেডএস