ঢাকা: রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে নির্মম আচরণের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর বেসরকারি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ভর্তি রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হয়।
কর্তৃপক্ষের এ ধরনের হোটেল বাণিজ্যের কারণে ‘নির্মমতা’র শিকার হয়ে অভুক্ত থাকছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের এক প্রসূতি ও তার স্বজনদের সঙ্গে। ওই প্রসূতির স্বজনরা জানান, কর্তৃপক্ষের হোটেল বাণিজ্যের কারণে প্রসূতি ও তার স্বজনরা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে বারবার অনুরোধ করা হলেও কোনো ফল হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পপুলার হাসপাতালের ৫০১ নম্বর ভিআইপি কেবিনে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ডাক্তারি পড়ুয়া প্রসূতি সুস্মিতা সাহা (২৩) শিশু সন্তানের জন্ম দেন।
পরদিন (৭ অক্টোবর) ওই ভবনের ৭ তলায় অবস্থিত হাসপাতালের নিজস্ব হোটেলের খাবার খেয়ে প্রসূতি, তার মা, শাশুড়ি ও স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় স্যালাইন ও ফল খেয়ে রাত যাপন করেন তারা।
৮ অক্টোবর বাসায় রান্না করা নিরামিষ খাবার নিয়ে গেলেও ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
প্রসূতির বাবা সুভাষ সাহা বলেন, হাসপাতালে বাইরে থেকে খাবার আনা নিষেধ। লিফটে ওঠার সময়-ই নিরাপত্তা কর্মীরা আটকে দেন।
তিনি জানান, ডেস্কে কর্তব্যরত লোকদের অনুরোধ করা হলেও তারা (কর্মকর্তা-কর্মচারী) পাশের কক্ষের এক কর্মকর্তার অনুমতি নিতে বলেন। ওই কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। হাসপাতালের খাবার খেয়ে অসুস্থতার ঘটনা বলার পরও তার অবস্থানে অনড় ছিলেন ওই কর্মকর্তা।
‘দুর্গাপূজা চলাকালে চারদিন নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক। এতেও ওই কর্মকর্তার মন গলেনি। এক পর্যায়ে ২০২ নম্বর কক্ষে হাসপাতালের ডিরেক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হলা হয়। তবে ওই সময় তিনি কক্ষে ছিলেন না। ’
প্রসূতি সুস্মিতা সাহা পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. উম্মে সালমা চৌধুরী শান্তার পেসেন্ট ছিলেন। রুটি-কলা খেয়েই ১২ অক্টোবর হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারা।
পপুলার হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের হয়রানির আরও অনেক ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৬
এমএ/