ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

৬৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
৬৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেন ছবি: রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশে ধনী-গরিব নির্বিশেষে ৬৪ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বাস্থ্যসেবার মান এই অতিরিক্ত অর্থ খরচের তুলনায় অসন্তোষজনক।

জেমস্ পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ব্রাক ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের যৌথ আয়োজনে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ বিষয়ে এক আলোচনাসভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিএমএ সভাকক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ব্যক্তি যেন মানসম্পন্ন সেবা সুষ্ঠুভাবে দেয় এবং প্রয়োজনীয় সেবা নিতে গিয়ে যেন মানুষকে নিঃস্ব হতে না হয় সে জন্যই ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত করতে হবে।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন হেলথ ইকোনমিক্স ইউনিটির মহাপরিচালক আসাদুল ইসলাম, ব্রাক ইউনিভার্সিটির জেমস্ পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের পরিচালক (রিসার্চ) অধ্যাপক মালবিকা সরকার।

বক্তারা বলেন, আগামী দিনগুলোতে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে কাজে লাগিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ নিশ্চিত হতে পারে।

উপস্থিত সাংবাদিকরা চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ ও স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি হ্রাস, এ খাতের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, সেবার ক্ষেত্রে সমতা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা গড়ে তোলা এবং সরকারসহ অন্য স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের প্রভাবিত করতে জোরালো ভূমিকা রাখে।

হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ বলেন, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিপূরকভাবে কাজ করলে সার্বিকভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন অর্থপূর্ণ ও সুলভ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এমএন/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।