আসছে শীত। এ সময়টাতে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।
তবে সুষম, পুষ্টিকর ও সঠিক খাবার এবং পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম আপনার সন্তানকে সুস্থ রাখবে। পাশাপাশি ওর রোগ প্রতিরোধ (ইমিউন) প্রক্রিয়া এবং শীত ও জ্বর প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
খাবার
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার ঠাণ্ডার সময়ে শিশুর জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর। তাই আপনার সন্তানকে রুই ও বোয়াল জাতীয় এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক তৈলাক্ত ও সাদা মাছ (কড, কোলে, স্যামন, ম্যাকরল, হেরিং, তাজা টুনা), শীতের সবুজ শাক-সবজি এবং রাই সরিষা তেল, আখরোট, বাদাম খেতে দিন। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তৈলাক্ত ও সাদা মাছ খাওয়াতে হবে।
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, সব ফল ও সবজি বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ দেয়। শীতে তাই আপনার সন্তানকে বিশেষত ভিটামিন সি ও ক্যারটিনয়েড সমৃদ্ধ লাল হলুদ ও কমলা রঙের ফল খাওয়ান।
আপনার সন্তানকে প্রতিদিন দু’টি ফল ও সবজির পাঁচটি অংশ একসঙ্গে পরিবেশন করলে তা ভালো কাজে দেবে। তাজা ও হিমায়িত পুডিং, শুকনো কলাই তার খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
এছাড়াও আস্ত শস্যদানা, মাংস ও শিম জাতীয় সবজি দিয়ে পুষ্টির বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে পারেন।
এসব খাবার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ, ইমিউন প্রক্রিয়া শক্তিশালী ও শ্বেত রক্তকণিকা বাড়িয়ে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করবে আপনার সন্তানকে।
আপনার সন্তান যদি বুকের দুধ খায়, তাহলে যতোদিন পারবেন, তা খাওয়াতে হবে। বুকের দুধের সমৃদ্ধ পুষ্টি ও ইমিউন বৃদ্ধির সুবিধা আপনার শিশুকে হাসি-খুশি উদ্যমী রাখবে। শ্বেত রক্তকণিকার সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় তা সুস্থ ইমিউন প্রক্রিয়ার উন্নয়নেও অপরিহার্য।
ঘুম
পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম শিশুকে যেমন সুস্থ রাখবে, তেমনি ঘুম কম হলে তাদের সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমিউন প্রক্রিয়া হ্রাস করে। ফলে শিশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। ঘুমের পরিমাণ শিশুদের বয়সের ওপর নির্ভর করে। সাধারণ নিয়মে দিনে নবজাতকদের ১৮ ঘণ্টা, তিন বছর বয়স পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা এবং তিন থেকে ১২ বছর বয়সী পর্যন্ত শিশুদের ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমানো প্রয়োজন।
তাই আপনার শিশুর বয়স ও প্রয়োজন অনুসারে নিরাপদ, শান্তিময় ও আরামদায়ক ঘুমের ব্যবস্থা করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এএসআর/এইচএ/