এবারের রোজাতে অনেকেই বেশ ক্লান্ত হয়ে গেছে। প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা পর্যন্ত রোজা রাখতে গিয়ে পানিশূন্যতা,বুকজ্বলা কিংবা মাথাব্যথায় ভুগছেন।
যা পরিহার করবেন:
* বেশি ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো দেহে বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া অথবা ওজন বাড়াতে কাজ করে।
* যেসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকে।
* সেহরি ও ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ ।
* অতিরিক্ত চা ও কফি। এগুলো অতিরিক্ত প্র¯্রাব তৈরির মাধ্যমে দেহে পানিস্বল্পতার সৃষ্টি করে, যাতে দেহ দুর্বল হয়।
লক্ষ রাখবেন
* জটিল ধরনের কর্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার খান; যেমন: চাল, গম, মসুর, শাকসবজি সেহরির সময় গ্রহণ করতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেকক্ষন সময় লাগে।
* ইফতারের সময় এমন খাবার গ্রহণ করতে হবে, যা অতি সহজে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে। দীর্ঘক্ষণ ধরে রোজা রাখার কারণে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীরে হাইপোগ্লাইসেমিয়া দেখা দিতে পারে। এতে অনেকের মস্তিষ্কে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় এবং শেয বিকেলের দিকে মাথাঘুরে, চোখে অস্পষ্ট দেখে। এসব সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ঝটপট ইফতারে মিষ্টিজাতীয় খাবার খান। খেজুর, শরবত অথবা জুসের পাশাপাশি গ্লুকোজের শরবতও পান করতে পারেন।
* ইফতারের জন্য হালিম একটি উপকারী খাবার। এতে ডালজাতীয় খাদ্যকণা বেশি থাকে বলে শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়া, হালিম খেলে পায়খানার কষাভাব কমে যায়।
* খেজুর হলো কার্বোহাইড্রেট, চিনি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। খেজুর শুকনা খাবার, তাই এটা খনিজ পদার্থেরও একটি প্রধান উৎস। এ জন্য প্রতিদিনের ইফতারে অন্তত পাঁচটি খেজুর খান।
* একটি কলাও সঙ্গী হতে পারে আপনার ইফতার মেন্যুতে। এতে রয়েছে শর্করা, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। আর ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে তো আছেই।