ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর ৬৩ শতাংশ নারী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর ৬৩ শতাংশ নারী ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

দেশে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর ৬৩ শতাংশই নারী বলে জানিয়েছেন এএমআরএফ-এর অ্যাসিসট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. জাহেদ মো. মাসুদ। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে তিনটায় ইডব্লিউএমজিএল মিলনায়তনে দৈনিক কালের কণ্ঠ আয়োজিত ‘আর্সেনিক: জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

ঢাকা: দেশে আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর ৬৩ শতাংশই নারী বলে জানিয়েছেন এএমআরএফ-এর অ্যাসিসট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. জাহেদ মো. মাসুদ। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সাড়ে তিনটায় ইডব্লিউএমজিএল মিলনায়তনে দৈনিক কালের কণ্ঠ আয়োজিত ‘আর্সেনিক: জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. জাহেদ বলেন, আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের ওপর নানা সময় নানা গবেষণা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে আমরা খেয়াল করেছি আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি। আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা ৬৩ শতাংশ। অপর দিকে পুরুষের সংখ্যা ৩৭ শতাংশ। আবার এসব রোগীদের মধ্যে দরিদ্র শ্রেণির মানুষই বেশি। ফলে আর্সেনিক প্রতিরোধে বা প্রতিষেধকে যে খাদ্য বা ওষুধ আবশ্যক হয় তা কিনতে পারেন না এসব রোগীরা।

আর্সেনিক নিয়ে আলোচনা কেবল একদিন বা কিছু সময়ের জন্য করলে চলবে না, মানুষকে সচেতন করতে হবে বলে জানান দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন।

তিনি বলেন, আর্সেনিক সমস্যা নিরসনে মানুষকে সচেতন করে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মানুষের শিক্ষার হার কম। সেক্ষেত্রে তাদের এমনভাবে বোঝাতে হবে যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আর্সেনিক সমস্যা কী বা কীভাবে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় তা তারা বুঝতে পারেন। এক্ষেত্রে পুরো বছরব্যাপী কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে আর্সেনিক সমস্যা বেশি সেসব জায়গায় এক সাথে সবাইকে কাজ করে এই সমস্যা নিরসন করতে হবে।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মতিন উদ্দীন আহম্মেদ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের হেড অফ পলিসি অ্যাডভোকেসি সামিয়া আহমেদ।

এ সময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, আর্সেনিক যে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা তা কিন্তু নয়। বেশ কিছু বছর আগে বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হয়। সে সময় ৫০ শতাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক পাওয়া যায়। কিন্তু দিন দিন নলকূপের সংখ্যা বেড়েছে কিন্তু সেই ক্ষেত্রে আর্সেনিক পরীক্ষা করা ঠিক মতো হয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিতে হবে। এখনও দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশ আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
ইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।