ঢাকা: মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, যৌনতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদের সমাজে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যে কারণে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর পল্টনে ফ্যামিলি প্লানিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এফপিএবি) এর মিলনায়তনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সবুক বোর্ড (এনসিটিবি) এবং এফপিএবি’র যৌথ আয়োজনে এনসিটিবি প্রকাশিত মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক অধ্যায় পর্যালোচনা ও সুপারিশ বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বয়ঃসন্ধিকালে প্রাকৃতিকভাবে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক কিছু পরিবর্তন হয়, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা এ বিষয়ে ছেলে-মেয়েদের ধারণা না দেওয়ার কারণে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কারের কারণে অনেক সময় প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। অনেক সময় জীবনও ঝুঁকিতে পড়ে।
এফপিএবি’র সভাপতি মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, এফপিএবি’র মহাসচিব মিজানুর রহমান খান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভূগোলের প্রফেসর ডিএম ফিরোজ শাহ। সভায় বিভিন্ন টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রায় অর্ধশত শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, যৌনতা নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ও অনাচার হয়। এ বিষয়ে সবার স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।
মূল প্রবন্ধে ডিএম ফিরোজ শাহ বলেন, মাধ্যমিক পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা বইয়ের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২টি ক্লাস হয়, তাও আবার টিফিনের পর। এ সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রী ক্লাসে থাকে না।
অনেক সময় অনেক শিক্ষক প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াতে জড়তা অনুভব করেন। তিনি শিক্ষকদের এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ট্রেনিং এবং বাংলাদেশে ও বিশ্ব পরিচয়, বিজ্ঞান ও বাংলা প্রথম পত্রে প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে অধ্যায় সংযুক্ত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৬
পিআর/জেডএস