রাত পৌনে দশটার দিকে গেট আটকে সেখানে ইনটার্ন চিকিৎসকদের অবস্থান নেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর আহ্বায়ক ডাঃ দেবেষ চন্দ্র তালুকদার।
তিনি জানান, একটি শিশু রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডাঃ শর্মিষ্ঠার বাদানুবাদ হয়।
এরপর প্রতিবাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগের মূল ফটকে জড়ো হন এবং ওই স্বজনদের কয়েকজনকে দায়ী করে তাদের আটক ও বিচার করার দাবি জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা গেট বন্ধ করে দেন ও সেখানে অবস্থান নেন।
রাত সোয়া ১০টার দিকে জরুরি বিভাগের পাশাপাশি হাসপাতালের অন্য গেটগুলোও বন্ধ করে অবস্থান নেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এছাড়া টিকেট কাউন্টারে টিকেট বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের এস আই বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে ইন্টার্নদের এই আন্দোলনের কথা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে ডাঃ শর্মিষ্ঠা বাংলানিউজকে জানান, ওই রোগীর ১০-১২ জন স্বজন একসঙ্গে ওয়ার্ডে ঢুকে গেলে তাদের আনসার ডেকে বের করে দেওয়া হয়। তখন তারা বাইরে থেকে দরজায় লাথি দিলে কাচ ভেঙ্গে ফারহানা আফরীনের হাত কেটে যায়।
অবরোধ প্রত্যাহার
এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময় ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৭
এমএমকে