শনিবার (৮ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথমে যে স্থানটিতে আগুন লাগে সেখানে পুরনো গাড়ি ফেলে রাখা হয়েছিল।
সূত্রটি জানায়, এতে ‘সব ধরনের কন্ট্রাসেপটিভ (জন্মনিরোধক) ছিলো’।
তবে বিষয়টি স্পষ্ট করে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ড্রাগস অ্যান্ড স্টোর) হানিফুর রহমান রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিনটি পণ্যাগারে প্রচুর জন্মনিরোধক সামগ্রী রয়েছে। তবে সেখানে (অগ্নিকাণ্ডস্থল) কনডম ছিল না বললেই চলে। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি ‘সুখী’ও ছিল না। ’
এই গোডাউনে মাল রিসিভ করে সারাদেশে সরবরাহ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, পুড়ে যাওয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ৩৬ ধরনের ওষুধ। এসব ওষুধ গর্ভধারণকালীন সময়ে মাকে খাওয়ানো হয়। এছাড়াও ছিল ইনজেকশন এবং গ্লাভস। এগুলো পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা মানুষকে শেখানোর জন্যে বা বাচ্চা প্রসবের সময় ধাত্রীরা ব্যবহার করেন। পুড়েছে জন্মনিয়ন্ত্রণের ফর্ম, রেজিস্ট্রার এবং আসবাবপত্রও।
পুড়ে যাওয়া সামগ্রীর একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হানিফুর রহমান।
তবে কত টাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সে সর্ম্পকে কোনো তথ্য দেননি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ক্ষয়ক্ষতি সর্ম্পকে জানতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (লজিস্টিক) কাফিল উদ্দিন এবং সহকারী পরিচালক (কো-অর্ডিনেশন) মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমএন/এইচএ/