বলা হচ্ছে- জলপাইয়ে এমন গুন আছে যে তা প্রাকৃতিক জন্মনিরোধকের কাজ করে। পূর্ব সতর্কতাহীন যৌনমিলনে জলপাই হয়ে উঠতে পারে ভরসার স্থল।
এটা ভেবে বসবেন না যে- মুঠো মুঠো জলপাই খেয়ে ফেললেই আর গর্ভবতী হবেনা না। তবে এর মধ্যে এমন এক উপাদান রয়েছে যা শুক্রানুগুলোকে ডিম্বানুর সঙ্গে মিশে যাওয়া পথে বাধা সৃষ্টি করে। একই ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান আম ও আঙুরেও রয়েছে। যা অসাবধানের যৌনমিলন শেষে ভোরের কনট্রাসেপটিভ পিলের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে। অনিরোধিত যৌন মিলনের পরবর্তী ৫ ঘণ্টা তা কাজ করবে।
বলা হচ্ছে, এটি হতে যাচ্ছে প্রথম জন্মনিরোধক ব্যবস্থা যা নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে কাজ করবে। আর তা হবে প্রচলিত ওষুধগুলোর মতো হৃদরোগ, রক্ত-জমাট, বিষণ্নতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত।
জলপাইয়েই উপাদানটি সবচেয়ে বেশি। আম ও আঙুরেও রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন এই উপাদানটি পুরুষের শুক্রানুর গতি দুর্বল করে দেয়। তাতে তা নারীর ডিম্বানুতে সজোরে ঢুকে পড়তে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, নারীদের জন্য দুই বছরের মধ্যে তারা এটি ওষুধ আকারে বাজারে আনতে পারবেন। নারীরা তা যৌন মিলনের আগে বা পরে খেয়ে নিলেই জন্মনিরোধন সম্ভব হবে। আর পুরুষের জন্য বাজারে আনতে বছর চারেক সময় লাগবে।
ওষুধটি শুক্রানুগুলো অকেজো করে দেবে এমন নয়, সেগুলো সক্রিয় থাকবে তবে শক্তি পাবে না। ফলে সজোরে গিয়ে আঘাত হানতে পারবে না ডিম্বানুর দেয়ালে। এমনকি যৌন মিলনের আগে পুরুষ খেয়ে নিলে সেখান থেকেই শুক্রানুগুলো তার শক্তি হারাতে থাকবে।
পুরুষের জন্য জন্মনিরোধনে ভবিষ্যতের অত্যন্ত কার্যকর একটি ব্যবস্থা হিসেবেই দেখা হচ্ছে আবিষ্কারকে। এতে পরিবার পরিকল্পনায় নারী ও পুরুষ উভয়ই সমান দায়িত্ব নিতে পারবে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমএমকে