ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকনগুনিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্ক নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
চিকনগুনিয়া রোগ নিয়ে আতঙ্ক নয়

ঢাকা: চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আতঙ্ক না ছড়িয়ে গণসচেতনতা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার (১৭ মে) সচিবালয়ে চিকনগুনিয়া রোগ বিস্তার রোধে করণীয় সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রাণলয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মন্ত্রী বলেন, চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাগের কোনো আশংকা নেই। সরকার এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই প্রস্তুত।

রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে বেশি করে তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সচেতনতায় গণমাধ্যমের ভূমিকা বেশি। সংবাদপত্র ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে, যাতে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে শক্তিশালী তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়।

সবাইকে মনে রাখতে হবে, মশা নিধনই এ রোগ প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।

চিকনগুনিয়া মরণঘাতী কোনো রোগ নয়। তাই এ নিয়ে অহেতুক ভীত বা আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।

নিজ বাড়িঘর ও আশপাশে যেন কোনোভাবে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্যে মন্ত্রী প্রত্যেক নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাধারণত জমে থাকা পানির মধ্যেই চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগবাহক এডিস মশা জন্মায়। জমে থাকা পানি অপসারণের মাধ্যমে এ রোগ দু'টি থেকে নিজেদের রক্ষা করা সম্ভব।

চিকনগুনিয়ার বিস্তার ও লক্ষণের বিষয়ে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে অতিবর্ষণের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মশা খুব দ্রুতই একজন থেকে অন্যজনের দেহে এ রোগ নিয়ে যায়। তাই মশারি ব্যবহার করতে হবে, এমনকি দিনের বেলায়ও। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর অথবা সন্ধ্যার সময় কামড়ায়।

ডা. আলমগীর জানান, চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ হচ্ছে প্রথমে জ্বর আসে, এরপর গায়ে ভীষণ ব্যথা হয়, অনেক সময় নড়াচড়াই করা যায় না। গিঁটে গিঁটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাবও চিকনগুনিয়ার লক্ষণ।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দিয়েছে আইইডিসিআর। গিঁটের ব্যথার জন্য ঠাণ্ডা পানির সেক এবং হালকা ব্যয়ামও করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৭
এমএন/এএটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।