বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে মহাখালীতে সাংবাদিক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানান আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মীরজাদা সাবরিনা ফ্লোরা।
তিনি জানান, চিকনগুনিয়ার কোনো ভ্যাক্সিন নেই।
ফ্লোরা বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে আইইডিসিআর-এ ১৩৯টি কেস এসেছে। যার মধ্যে ৮৬ জনেরই চিকনগুনিয়া পজিটিভ। এটা শুধু সন্দেহজনকদের মধ্যেই। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে গত বছর এ সময়ে চিকনগুনিয়া পজিটিভের সংখ্যা ছিল শূন্য।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, চিকনগুনিয়ায় মৃত্যু নেই। আক্রান্ত রোগীর শরীরে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। শরীরের জয়েন্টে ব্যাথা হয় প্রচণ্ড। ২ থেকে ৩ দিন বা এক সপ্তাহ থেকে চলে যায়। এ জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক টাকা খরচ করে চিকনগুনিয়ার টেস্ট করারও প্রয়োজন নেই। যেহেতু এডিস মশা বাহিত রোগ, তাই ডেঙ্গু বা অন্য কোনো রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, এবার দেখা গেছে কলাবাগান ও রামপুরায় প্রকোপ বেশি। আমরা সেখানে দেখবো এডিস মশার কোনো ব্রিডিং স্থান রয়েছে কিনা। থাকলে সেটি ধ্বংস করতে হবে।
সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি ডা. খান আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই জ্বরে প্যরাসিটামাল গ্রহণ করলেই চলে। তবে অন্য কোনো রোগ রয়েছে কিনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করা ভালো। শুধু চিকনগুনিয়ায় ভুগে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. সৈয়দা তাহমিনা বলেন, আমাদের নিজেদের ঘর ও আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। কোথাও যেন পানি না জমে থাকে, যেখানে মশার জন্ম হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৭
এমএন/এএ