স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যা দেখা দিলেই আমরা ছুটে যাই চিকিৎসকের কাছে। তারপর চিকিৎসক রোগী দেখে চিকিৎসা দেন।
এরকম একটা ঘটনা শুনলে কিছুটা আচঁ করতে পারবেন। হাসপাতাল-ক্লিনিকে প্রায়ই এ ধরণের ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক শ্বাসনালীর প্রদাহের এক রোগীকে জিজ্ঞাসা করছে, “আপনি কি ধূমপান করেন?” তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর উত্তর, ‘না’। পরবর্তীতে আবার যদি প্রশ্ন করা হয়, কতদিন হলো ধূমপান ছেড়েছেন? তাহলে উত্তর দিবে, এইতো এক সপ্তাহ হলো । আরো জিজ্ঞাসা করলে জানা যাবে তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে ধূমপান করতেন। আর শুধুমাত্র এই একটা তথ্য সঠিকভাবে জানতেই অনেক কালক্ষেপন হয়ে যায়।
কী কারণে চিকিৎকসকের কাছে যাচ্ছেন তা ঠিক করুন। এর উপরই নির্ভর করবে আপনার চিকিৎসা। মনে রাখেবেন, আপনার শরীর বা মনে কী সমস্যা হচ্ছে তার বিশদ বিবরণ দিবেন। প্রধান যে সমস্যার কারণে যাচ্ছেন সেটা প্রথমে বলুন।
চিকিৎসক যা জানতে চায় তা সঠিক ভাবে বলুন। এক্ষেত্রে কোন ব্যাখা করার দরকার নাই।
মনে রাখতে হবে আপনার রোগের ইতিহাস বলার উপরই নির্ভর করে চিকিৎসক আপনাকে কোন ধরণের রোগ-তদন্ত বা ডায়াগোনিস্টিক টেস্ট করতে দিবে।
এজন্য কতগুলো ব্যাপার মনে রাখা দরকার। হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা ডাক্তারের চেম্বারে যাবার আগে নিচের ব্যাপারগুলো চেক করে যাবেন।
১. জ্বর: কতদিন ধরে জ্বর হচ্ছে। দিনের কোন সময়ে এবং কতক্ষণ পর পর জ্বর আসে। একদিন পর একদিন জ্বর হচ্ছে কিনা তা-ও খেয়াল করবেন।
২. ব্যাথা: শরীরের কোন অংশে, কতদিন ধরে, কতটুকু অংশজুড়ে ব্যাথা, ব্যাথাযুক্ত অংশের চামড়ায় কোন দাগ অথবা ব্যাথানাশক ওষুধ খেলে ব্যাথা কমে কিনা লক্ষ্য করবেন।
৩. র্যাশ : শরীরে গুটি গুটি লালচে দাগকে র্যাশ বলে । কতদিন ধরে এ র্যাশ হচ্ছে তা জানুন।
৪. শারীরিক দূর্বলতা
৫. ক্ষুধামন্দা
অর্থাৎ আপনার শরীরে রোগের কারণে যে সব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা চিকিৎসককে বলার জন্য প্রস্তুতি নিন।
লিখে রাখুন:
অনেকে অল্প সময়ের মধ্যে চিকিৎসককে বলতে ভুলে যান পুরো রোগ ইতিহাস। পরে এসে আফসোস করে থাকে। এজন্য চিকিৎসকের কাছে যাবার আগেই ছোট কাগজে লিখে রাখুন আপনার সমস্যার কথা। প্রয়োজনে সময় এবং কারো সাহায্য নিন। আর, যদি আপনার বাচ্চার জন্য ডাক্তারের কাছে যান, তাহলে রোগ ইতিহাস বিবৃত করুন সাবধানে। আপনার সমস্যাগুলো চিকিৎসকের কাছে ভালভাবে উদ্ধৃত করার জন্য লিখে রাখা সবচেয়ে ভাল উপায়।