এ দিবস পালনের আরও উদ্দেশ্য দেশের জনগণকে প্রাণঘাতী রক্তবাহিত রোগ এইডস, হেপাটাইটিস-বি ও হেপাটাইটিস-সিসহ অন্যান্য রোগ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য স্বেচ্ছা রক্তদান ও রক্তের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
দিবসটি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
এরপর বিকেলে হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী।
১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’ এ থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে। রক্তের গ্রুপের আবিষ্কারক কার্ল ল্যান্ডইস্টেনার জন্মদিন ১৪ জুন ১৮৬৮। তার স্মরণে ২০০৪ সাল থেকে এ দিবসকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতিবছর বিশ্বে ১০৭ কোটি ব্যাগ রক্ত সংগৃহিত হয়। এর মধ্যে ৩১ শতাংশ স্বেচ্ছা রক্তদাতা আর ৫৯ শতাংশ আত্মীয় রক্তদাতা।
বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে শতভাগ স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে রক্ত সংগ্রহ করা হয়। উন্নত বিশ্বে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি এক হাজারে ৪০ জন আর উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রতি এক হাজারে ৪ জনেরও কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের জনগোষ্ঠীর ২ শতাংশ লোক বছরে একবার রক্তদান করলে আমাদের দেশে রক্তের অভাব থাকবে না। তবে, ২০২০ সালে আমাদের দেশে চাহিদার শতভাগ স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/