বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ঢাকা এবং অাশপাশের এলাকায় নর্দমা এবং খালগুলোতে এ এডিস মশার বিস্তার রয়েছে।
তিনি বলেন, চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার কামড়েই মানুষ মারাত্মক অসুখে অাক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে মশার বিস্তার রোধ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে শহরের ৫০ টি ওয়ার্ডে ৯২ টি টিম এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস করার কর্মসূচি নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অারও উপস্থিত ছিলেন-স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. সানিয়া তাহমিনা, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আব্দুর রশীদ, পরিচালক (আইইডিসিআর) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী ফ্লোরাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকা শহরের ৫০টি ওয়ার্ড চিকুগুনিয়ার বাহক এডিস মশার বিচরণ সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে ৪৭টি ওয়ার্ড চারণভূমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় এডিস মশার প্রজনন হার স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিনগুন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মশক নিধনের যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা যথার্থ নয়। তাছাড়া এডিশ মশা দিনের বেলায় ঘরের ভেতর কামড়ায়।
তাই, জনসচেনতা তৈরিতে ১৭ জুন অধিদফতর থেকে এক বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। শনিবার (১৭ জনু) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/