পুষ্টিগুণে ভরপুর টক স্বাদের এই ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ। যা পাকলে জমাট রক্তের মতো লাল হয়ে যায়।
বিশ্ব কোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে এনার্জি ৬২ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৪ গ্রাম, প্রোটিন ০.৫ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৪০ আইইউ, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ২৬০ মিলিগ্রাম ও কপার ০.২ মিলিগ্রাম।
এতে আরো বলা হয়েছে, করমচায় ফ্যাট বা কোলেস্টেরল না থাকায় তা ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য খুব ভালো। ওজন কমাতে সাহায্য করা এই ফলটি খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে। মৌসুমী সর্দি-জ্বর, স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে ফলটি অতুলনীয়। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোসহ গায়ের চুলকানি ও ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে জুড়ি নেই করমচার। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে সহায়তা করে করমচা। এছাড়া যকৃত ও কিডনির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেটের অসুখ নিরাময়, শরীরের ক্লান্তি দূর, বাতরোগ ও ব্যথা নিরাময়ে কাজ করে করমচা।
এছাড়াও করমচায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ যা চোখের জন্য উপকারী। করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়। করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ী উপকারি ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম। কাঁচা করমচার রস কৃমিনাশক হিসেবেও খুব ভালো।
করমচার ব্যাপারে উদ্ভিদবিদ্যাবিদ মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করমচা একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। এর পাতা থেকে শুরু করে ফল পর্যন্ত পুষ্টিগুণে ভরা। এজন্য বাড়িতে ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবে করমচা লাগানো যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৭
এসআই