রাজধানীতে চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা শনিবার (১৭ জুন) সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন।
শনিবার সকালে ধানমন্ডিতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, যে যার অবস্থান থেকে নিজের বাড়িঘর ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখলে এবং কোথাও পানি জমতে না দিলে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শুধু চিকুনগুনিয়া নয় সব রোগ প্রতিরোধেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।
নাসিম বলেন, এডিস মশা থেকেই যেহেতু চিকুনগুনিয়া রোগের ভাইরাস ছড়ায়, তাই এই মশার উৎপত্তিস্থল নিধন কার্যক্রম আমরা প্রতীকীভাবে শুরু করেছি। সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এডিস মশা নিধন কার্যক্রমে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দিন, বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা, ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়ক এবং আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতরে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই কার্যক্রমে অংশ নেন।
সকাল ৯টায় জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) এই কার্যক্রম শুরু করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) সিরাজুল হক খান, অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও নিপসমের পরিচালক ডা. বায়জিদ খুরশিদ রিয়াজ।
এদিকে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অভিযানে অংশ নেন ঢাকা শহরের সকল সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি, মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলসহ সব চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। রাজধানীর ৯২টি পয়েন্টে তারা সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস এবং এ রোগ নিয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে মাঠে পর্যায়ে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীতে চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে গত ১ থেকে ৫ জুন মহানগরীর ৪৭টি ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নিয়ে একটি জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা গেছে, ২৩টি ওয়ার্ডে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে এডিস মশা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
এমএন/আরআর