এছাড়াও ওষুধ আদালতে মামলাও করা হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ পরিদর্শক।
সোমবার (১৯ জুন) একজন ক্রেতা ফার্মেসিতে গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন কোম্পানির কানের ড্রপটি কেনেন ২৮০ টাকা দিয়ে।
সোমবার বিকেলেই রাজধানীর কলাবাগানে লাজ ফার্মা এবং নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ৬০ টাকা মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে এই ড্রপটি। এমনকি বাজারে ওষুধটির বিতরণেরও কোন ঘাটতি নেই বলে জানান গ্ল্যাক্সোস্মিথের বিপনণ বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবেই তিনি তদন্ত করা হবে বলে অবহিত করেন।
পরদিন বুধবার (২১ জুন) সকালে মহাপরিচালকের নির্দেশে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিদর্শক মোহাম্মদ আশরাফের নেতৃত্বে একটি দল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তামান্না ফার্মেসিতে অভিযান চালান। এসময় ৬০ টাকা মূল্যের ওষুধ ৫ গুণ বেশি দামে বিক্রি করার সত্যতা পায় দলটি।
ওষুধ পরিদর্শক আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, তাদের কাছে কয়েকটি অটোসপরিন ড্রপ ছিলো। যেগুলোতে এমআরপি ৬০ টাকা লেখা থাকলেও, ২৮০ টাকা বিক্রি করছিলো তারা। আমরা হাতে নাতে বিষয়টি ধরে ফেলি এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই চিঠি হাতে পাবে তামান্না ফার্মেসি কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ওষুধ পরিদর্শক নিপা বাদী হয়ে ওষুধ আদালতে মামলা করবেন।
আশরাফ বলেন, অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পর তামান্না কর্তৃপক্ষ বলছেন, ড্রপের সংকট রয়েছে বাজারে। মিটফোর্ড থেকে ২৩০ টাকা করে কিনেছেন বলেও ক্যাশ মেমো দেখিয়েছেন তারা। তবে ওষুধ আদালতে মামলা থেকে রক্ষা পাবেন না তারা। কারণ আইন অনুযায়ী কোনভাবেই প্যাকেটের গায়ের এমআরপি'র চেয়ে বেশি দাম রাখতে পারে না তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৭
এমএন/বিএস