ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফ্রিজ নষ্ট, মর্গে পচছে মরদেহ ‍

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
ফ্রিজ নষ্ট, মর্গে পচছে মরদেহ ‍ ঢামেক মর্গের মেঝেতে মরদেহ। ছবি: আবাদুজ্জামান শিমুল

ঢাকা: মরদেহ সংরক্ষণের ২০টি ফ্রিজের মধ্যে ১২টিই নষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতার মর্গে। সচল থাকা ৮টি ফ্রিজে বেশ কিছু দিন ধরেই আছে জঙ্গি আর বিদেশিদের লাশ। তারওপর অজ্ঞাত পরিচয় লাশ দাফন বন্ধ করে দিয়েছে আজিমপুর কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। জুরাইনে কবরের জায়গা বর্ষার পানিতে ডুবে যাওয়ায় মরদেহ নিচ্ছে না ‍আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামও। 

মর্গের মেঝেতে বেশ কয়েক দিন ধরে পড়ে থাকা অজ্ঞাত পরিচয় সাত সাতটি মরদেহ তাই গলতে শুরু করেছে। দুর্গন্ধে সমস্যা হচ্ছে অন্য লাশের ময়নাতদন্তেও।

মর্গ সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন অাগে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ৩টি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায় রেলওয়ে থানা পুলিশ। একইভাবে হাজারীবাগ থানা ১টি, শাহবাগ থানা ১টি ও সাভার থানা ২টি মরদেহ পাঠায় ঢামেক মর্গে।

ফ্রিজে জায়গা খালি না থাকায় ময়নাতদন্ত শেষে সেগুলো ফ্লোরে ট্রলির উপরই রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সারা বাংলাদেশে যতো মর্গ আছে তার মধ্যে এই মর্গে কিছুটা অাধুনিকতার ছোঁয়া আছে। কিন্তু লাশ রাখার ফ্রিজের ধারণ ক্ষমতা ২০টি হলেও ১২টিই নষ্ট। যে ৮টি ভাল সেগুলোতে জঙ্গি, বিদেশিসহ বেশ কয়েকটি লাশ রাখা হয়েছে। মর্গ যেহেতু ঢাকা মেডিকেল কলেজের আওতায় সে জন্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সন্ধ্যার দিকে কোন লাশ এলে সেগুলোর ময়নাতদন্ত হয় পরের দিন সকালে। গরমের কারণে তাই মরদেহগুলো কিছুটা পচে যায়।

ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ময়নাতদন্তর জন্য আমাদের কোন এক্স-রে মেশিন নেই। গুলিবিদ্ধ কোন লাশ এলে সেই গুলি বের করতে লাশটির সম্ভাব্য জায়গার আশপাশে অতিরিক্ত কাটতে হয়। এক্স-রে মেশিন থাকলে অনেক সহজেই জানতে পারতাম গুলিটি কোথায় আছে।

এ বিষয়ে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ডিউটি অফিসার নুর আমিন বলেন, আমরা কয়েক দিন আগেও ঢামেক মর্গ থেকে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ এনে দাফন করেছি জুরাইন কবরস্থানে। আজিমপুরে গত দুই বছর ধরে অজ্ঞাত পরিচয় কোন লাশ দাফন করা যায় না। কবরস্থান কর্তৃপক্ষ সিটি কর্পোরেশন থেকে এ নিয়ম পাশ করিয়েছে। এখন জুরাইন কবরস্থান কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ওখানেও জায়গা নাই। এটা নিচু জায়গা, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়।

জুরাইন কবরস্থানের সিনিয়র মোহরার সোয়াইব হোসেন বলেন, ১৭ একর জায়গা জুড়ে জুরাইন কবরস্থান। এটি নিচু জায়গা। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। অন্যান্য লাশের পাশাপাশি সব অজ্ঞাত পরিচয় লাশ এখানেই দাফন করা হয়। জুরাইন কবরস্থানে আঞ্জুমানের বর্ধিত জায়গাগুলো পানিতে ডুবা। তাদেরকে এসে দেখে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা আসছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এজেডএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।