ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অর্ধেক খরচে আদ-দ্বীনে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৭
অর্ধেক খরচে আদ-দ্বীনে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা অর্ধেক খরচে আদ-দ্বীন হাসপাতালে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা/ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা

ঢাকা: রাজধানীর আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অত্যাধুনিক হাসপাতালে ৫০ শতাংশ ছাড়ে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। গত ২১ জুন থেকে শুরু হওয়া সেবা মাসের এ কর্মসূচি চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

রাজধানীর জুরাইনের পোস্তগোলা বালুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত অত্যাধুনিক এ হাসপাতাল ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটা জানা গেছে।

কর্মকর্তারা জানান, সেবা মাস চলাকালে একজন রোগী মাত্র ৬০০ টাকায় ফোর-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে পারবেন।

সাধারণ বেডে ৭ দিন পর্যন্ত থাকা যাবে বিনা খরচে।

প্রতিদিন নন এসি পেয়িং বেডের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা, এসি বেডের জন্য ২৫০-৫২৫ টাকা, নন এসি কেবিনের জন্য ৬৫০ এবং এসি কেবিনের জন্য প্রতিদিন ভাড়া দিতে হবে ৮৫০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য সেবাতেও পাওয়া যাবে ৫০ শতাংশ ছাড়।

এর আগে গত ২৭ মে থেকে টানা একমাস সম্পূর্ণ বিনামূল্যে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসা সেবা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ৪০০ কোটি টাকার ব্যয়ে আদ-দ্বীন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক হাসপাতালটির ১০ তলা ভবনের আপাতত দু’টি ফ্লোরে প্রায় ৪০ হাজার বর্গফুটের ১০০ আসনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২৭ মে।

নির্মাণাধীন পুরো ভবনটিতে ৫০০ শয্যা হাসপাতালে থাকবে অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। এমনকি রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে এখানে।

হাসপাতালটিতে রয়েছে কোটি টাকা ম‍ূল্যের অত্যাধুনিক ফোর-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন। এমন মেশিন বাংলাদেশে মোট ৪-৫ টি রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। রয়েছে ৪৬৪ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুবিধা সংবলিত আধুনিক প্যাথলজি বিভাগ।

হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের ভেতরের বেড, দু’টি ক্যান্টিন, একটি ফুড কর্ণার, টয়লেট-এসব কিছু করা হয়েছে ফাইভ স্টার হোটেলের আদলে।  

এদিকে হাসপাতালে মাল্টি ক্যাজুয়ালিটি সার্ভিসসহ জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে ভবনের ছাদে হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঢাকার মধ্যে ২৪ ঘণ্টা স্বল্প মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবাও চালু রয়েছে এই হাসপাতালের।

ভবিষ্যতে এই হাসপাতালকে একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে রোগীর সেবায় এই হাসপাতালে ৫০ জন চিকিৎসক, ২০০ নার্স ও ১০০ পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। আগামী ঈদুল আযহার আগেই পরিপূর্ণ সেবা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে হাসপাতালটি।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিকিৎসা সেবার বাইরে এ হাসপাতালে এমন কিছু সুবিধা রয়েছে যা রোগী বা তার স্বজনদের কোনো প্রয়োজনে বাইরে যেতে হবে না।

হাসপাতালের ভেতরেই রয়েছে শিশু কর্ণার ‘উপমা’। সেখানে শিশুদের সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ বড়দের পোশাক, নকশী কাঁথা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় কম দামে পাওয়া যাবে। রয়েছে ‘উৎস’ নামে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।

সেখানে মাছ, মাংস, চাল, ডাল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় পণ্য মিলবে সহনীয় দামে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জেসমিন ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, জুরাইন এলাকায় বেশির ভাগ মানুষই নিম্নবিত্ত। এখানে উন্নত সেবা নিশ্চিত করার জন্য তেমন কোনো হাসপাতাল নেই। এ এলাকা ও আশপাশের মানুষের কথা চিন্তা করেই এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

হাসপাতালে স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে আসা স্থানীয় ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ৫০ শতাংশ ছাড়ে আমরা এখানে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছি। হাসপাতালে সবার ব্যবহার খুবই ভালো। এতো সুবিধা নিয়ে এমন হাসপাতাল আমরা এর আগে কখনও দেখিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এসআইজে/এমএ

**
আদ-দ্বীন হাসপাতালে এক মাসে ২ হাজার মায়ের ফ্রি চিকিৎসা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।