সরকারি এ সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
একই বিবৃতিতে চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি আইইডিসিআর এর বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
সংস্থাটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আইইডিসিআর সম্প্রতি মোবাইল ফোনে ঢাকা শহরে ৪ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে একটি জরিপ চালায়। ওই জরিপে চিকুনগুনিয়ার উপস্থিতির বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে রোগটির উপসর্গের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৩৭৫ জন অংশ্রগহণকারী জ্বর ও গিটের ব্যথায় ভুগছেন বলে তথ্য দেয়।
তবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জরিপটি পরিচালিত হওয়ায় এর তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা হয়নি। পরবর্তী কার্যক্রমে এদের মধ্যে চিকুনগুনিয়ার উপস্থিতিহ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তারা বলছে, এই অসম্পূর্ণ জরিপের ওপর ভিত্তি করে চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যার নির্ণয় করা ঠিক নয়। কারণ, আইইডিসিআর এর সংগৃহীত এই উপাত্ত রোগীর সংখ্যা নয়, বরং রোগের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য। তাই ঢাকা শহরে প্রতি ১১ জনে একজন চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত বলে যে সংবাদ প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭/আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা
এমএন/এসএইচ/জেডএম