সূত্র জানায়, এখানে কোনো চিকিৎসা দেয়া হয় না। মূলত এর অধীনে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের সাব-সেন্টার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর চিকিৎসক, ওষুধ, ভ্যাক্সিনেশনসহ নানা কর্মসূচি এখান থেকে পরিচালনা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে এ আউটডোরে গিয়ে এমবিবিএস চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। সেখানে আকতারুজ্জামান নামে ওই ইউনানি চিকিৎসকের কাছে রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। সেখানে নারী, পুরুষ, শিশুসহ সব বয়সীদের সব ধরনের রোগের চিকিৎসাই দিচ্ছিলেন তিনি।
তিনি ইউনানি চিকিৎসক হলেও তার দেয়া ব্যবস্থাপত্রে শুধুই অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের নাম দেখা যায়।
একটি পলিথিনে শিশুদের সালবিউটামল ও ক্লোরফেনিরামিন জাতীয় সিরাপ সলিউশন দেয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে আব্দুর রশিদ (১৭ মাস) নামে একটি শিশুর অভিভাবক বাংলানিউজকে জানান, বোতলে সিরাপ না দিয়ে তারা পলিথিনে দিয়েছে। এখন পলিথিনের ওষুধ তিনি তার বাচ্চাকে খাওয়াবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন। একই অবস্থা সেখানে আসা অন্যান্য শিশুর অভিভাবকদেরও।
মমেনা (৫৫) নামে এক নারী আসেন গলা ব্যথার সমস্যা নিয়ে। তিনি বলেন, সাতদিন ধরে ওষুধ খাচ্ছি। গলা ব্যথা সারছে না।
ওই সাব সেন্টারটির ফার্মাসিস্ট আবদুর গফুর বলেন, শিশু রোগীর স্বজনদের কাছে ওষুধ নেয়ার বোতল ছিল না। আর চিকিৎসকরা যদি অর্ধেক বোতল সিরাপ লেখেন, তাহলে আমি কি করবো?
বোতলের পরিবর্তে পলিথিনে ওষুধ দেয়ার কথা স্বীকার করলেও ইউনানি চিকিৎসক আকতারুজ্জামান কেন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ দিচ্ছেন সে প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
এ নিয়ে সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ইনচার্জ ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, পলিথিন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পলিথিনে থাকা লিকুইড জাতীয় ওষুধ সেবন অবশ্যই সেবন করা উচিত নয়। ইউনানি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এসআই