বটগাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে সিগারেটে টান দিতে দিতে বাসের অপেক্ষা করছেন তিনি। তার চারপাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন আরো ১০/১২ জন নারী-শিশু।
পাবলিক প্লেসে ধূমপানের অপরাধ স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি একা বন্ধ করলে তো হবে না। আমার মতো হাজার হাজার মানুষ পাবলিক প্রেসে ধূমপান করছেন। শুনেছি আইন আছে ৩০০ টাকা জরিমানার। কিন্তু জরিমানাটা নেবে কে? পুলিশও তো পাবলিক প্লেসে হরদম সিগারেট ফুঁকছে।
সিগারেটের ধোঁয়ায় ধুঁকছে ঢাবি, উপেক্ষিত নিষেধাজ্ঞা
এরকই রকম সুর পাওয়া যায় মিরপুর কমার্স কলেজের এক শিক্ষার্থীর কথায়। বছর খানেক ধরে সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়া ওই ছাত্র বলেন, প্রকাশ্যে ধূমপানের জন্য জরিমানার আইন আছে বলে শুনেছি। কিন্তু কাউকে জরিমানা করা হয়েছে বলে দেখিও নাই, শুনিও নাই। সরকারের ফোর্স করলে ধূমপায়ীদের অাইনের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল তো হতেই হবে।
কার্যত পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্যে ধূমপানের শাস্তি ৩০০ টাকা জরিমানা। এ আইন বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট ‘পাবলিক প্লেসের’ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
কিন্তু অনেকে এখনো এই আইনের কথা জানেনই না। মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে রিকশার ওপরে বসে ধূমপানরত এক রিকশাচালক বাংলানিউজকে বলেন, বাইরে সিগারেট খাইলে জরিমানা হয় বলে শুনি নাই। আমরা মুর্খ লোক, নিজের নাখই লিখতে পারি না। বিড়ি খাইলে জরিমানা জানি কেমনে? তয় বিড়ির ধূমায় মানসের ক্ষতি- এইডা জানি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এমআইএস/জেডএম