কি এমন ভুল ত্রুটিযুক্ত ওপেন হার্ট সার্জারি করেছিল যে, ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর প্রথম ওটি করার পর ওই একই মাসে ৬ বার হার্ট রি-ওপেন করা হয়েছিল? যার ফলশ্রুতিতে আমার স্ত্রীকে সিআইসিইউ থেকে আর বেরই করা যায়নি। তিন মাস থেকে সিআইসিইউতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হলো তাকে।
এ কেমন ডাক্তার যে, একই মাসে ৬ বার ওটি করার প্রয়োজন হয়েছিল এবং সেই ত্রুটিযুক্ত ওটি থেকে আমার স্ত্রী আর স্বাভাবিক হতে পারেনি। শেষ অবধি দীর্ঘ এক মাসেরও বেশী সময় লাইফ সাপোর্ট-এ থাকা অবস্থায় দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে যেতে হলো শুধু ডাক্তার নামের ওই অর্থ লোলুপ কসাই জাহাঙ্গীর কবীরের ত্রুটিযুক্ত ওপেন হার্ট সার্জারির কারণে।
অক্টোবর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানে ৩ মাসে ৫০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছিল তার শরীরে। কিন্তু রক্ত শরীরে থাকেনি কেন? নিশ্চয়ই অপারেশনে এমন কিছু ভুল করেছিল যার দরুন তার শরীর রক্তও গ্রহণ করতে পারেনি।
কিন্তু শুরু থেকে ডাক্তার বলে এসেছে, রোগী ক্রমান্বয়ে ভালোর দিকে। এ কেমন ভাল যে তিন মাসে তাকে সিআইসিইউ থেকে বেরই করা যায়নি? বের হলো ঠিকই, কিন্তু ঢুকে ছিলো হেঁটে, বের হলো স্ট্রেচারে।
একই মাসে ছয়-ছয় বার রি-ওপেন করার কারণ জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা আমাদেরকে জানাতে পারেনি বা জানায়নি। শুধু রি-ওপেন করেই গেছে, আর রক্ত দিয়ে গেছে। যে রোগের জন্য অপারেশন করেছিল সে রোগে সে মরেনি, মরেছে ত্রুটিযুক্ত অপারেশনে।
মো. জাফর হোসেন
**লেখা ও মতামত ভুক্তভোগীর
সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অাপনার অভিজ্ঞতা লিখে জানাতে পারেন [email protected] এই মেইলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
জেডএম/