খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ধূমপান নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় রাজধানীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝেও দিন দিন ধূমপানের প্রবণতা বাড়ছে।
আবার কোথাও কোথাও দেখা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরাও প্রকাশ্যে ধূমপান করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ও আশপাশের এলাকায় সিগারেটের দোকানের আধিপত্য বেশি। ফলে হাতের নাগালেই মিলছে সস্তা দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পাশে এক শিক্ষার্থীকে দেখা গেলো কয়েক বন্ধুর সঙ্গে ধূমপান করতে করতে স্কুলের দিকে যাচ্ছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) একই চিত্র দেখা গেলো ফার্মগেট এলাকায়। এখানে ফুটওভার ব্রিজের নিচে তেজগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ৫ ছাত্রকেও ধূমপান করতে দেখা গেলো।
ছবি তুলতে দেখে ওই ছাত্ররা এগিয়ে আসে। এসময় তারা বলে, বন্ধুদের সঙ্গে মজা করে সিগারেট থাচ্ছি। প্রতিদিন খাই না।
১৮ বছরের কম বয়সী কারো কাছে সিগারেট বিক্রি করা আইনত যে অপরাধ তা জানেন কিনা জানতে চাইলে সিগারেট বিক্রেতা মোসলেম বলেন- জানি, কিন্তু কেউ খাইতে চাইলে আমরা কি করমু? আইনে তো প্রকাশ্যে সিগারেট খাওয়াও নিষেধ। কয় জনে মানতাছে? আর এতো আইন দেখলে ব্যবসা হইবো না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে ৩ টাকা থেকে শুরু করে ১১ টাকার মধ্যে বিভিন্ন দেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়। স্বল্পদাম এবং সহজলভ্য হওয়ায় এগুলোর ক্রেতা হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে কনজিউমার ইয়ুথ বাংলাদেশ সভাপতি ও সচেতন ভোক্তা সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পলাশ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সন্তানের সামনেই অনেক বাবা ধূমপান করেন। এতে ওই সন্তানও ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের মধ্যে ধূমপান সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৭
এসআইজে/জেডএম