বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে হাসপাতাল চত্বরে গিয়ে একটি স্থায়ী এবং অন্তত এগারো জন ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতার সন্ধান মেলে।
হাসপাতালের মূল ভবনের জরুরি বিভাগের ঠিক সামনেই মোটরসাইকেল পার্কিং করার জায়গা।
মাসে কত টাকা ভাড়া দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছয় মাস ধরে আছি। ভাড়া দিই না। মাঝে তিন দিনের জন্য উঠায়া দিছিলো। আবার আইছি।
দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই দোকান খোলা রাখেন বলে জানান জসিম।
দোকানে চা ও সিগারেটের সঙ্গে রেখেছেন রোগীদের খাবার উপযোগী রুটি, কলা, বিস্কুট ও জুস। তবে, সিগারেটই বেশি বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।
কথার সত্যতাও মিলল। দোকানের সামনে রাখা চেয়ারে যারা বসে আছেন, তাদের প্রায় সবাই ধূমপান করছেন।
চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন কলেজ শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালের বাইরে অনেক সিগারেটের দোকান। এটা মেনে নিতে কষ্ট হলেও মানলাম। কিন্তু হাসপাতাল সীমানার মধ্যে কি করে সিগারেট বেচা-কেনা হতে পারে!
স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, গাড়ি পার্কিং করায় এ হাসপাতাল চত্বরে জায়গা অনেক কমে গেছে। যেটুকু যায়গা খালি আছে, তাতেও ধূমপায়ীদের জন্য যাওয়া যায় না। হাসপাতাল চত্বরে ধূমাপান বন্ধ করতে হলে চত্বরের ভেতরে সিগারেট বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, জরুরি বিভাগের সামনে অস্থায়ী সিগারেটের দোকান ও ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতাদের আমরা অনেক বার উঠিয়ে দিয়েছি। যতোবার উঠিয়ে দেই, তারা ততোবারই দোকান বসায়।
তিনি বলেন, যারা দোকান দেন তারা সবাই সমাজের ছিন্নমূল মানুষ। হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার লোক আসেন। তাদের চাহিদা এবং অসহায় মানুষদের কথা বিবেচনা করেও অনেক সময় আমরা চুপ থাকি।
হাসপাতাল চত্বরে ধূমপান বন্ধে কি উদ্যোগ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি শনিবারে আসেন। আপনাকে নিয়েই অস্থায়ী দোকান ও ভ্রাম্যমাণ সিগারেট বিক্রেতাদের উচ্ছেদ করব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
জেডএম/