এতে করে রোগীদের আর স্বাস্থ্য সেবা পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
এরই মধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্ড বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. নাসিমা খানম ইভা বাংলানিউজকে বলেন, একটি বিদেশি সংস্থার উদ্যোগে হবিগঞ্জের সবকয়টি উপজেলায় এ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে প্রজেক্টটি সফল হয়ে যাবে। এছাড়া প্রকল্পটি সরকারের কাছে প্রদর্শন করলে সরকার এটি হাতে নিয়ে নেবে বলেও আশাবাদী তিনি।
তিনি বলেন, এই কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে একজন উপকারভোগী গর্ভকালীন, প্রসবকালীন, পরিবার পরিকল্পনাসহ সবধরণের স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে যাবেন সহজেই।
ডা. নাসিমা খানম বলেন, ইউএসএআইডির অর্থায়নে মা-মনি এইচএসএস প্রকল্পের সহায়তায় হবিগঞ্জের সকল উপজেলায় এ কর্যক্রম চলছে পুরোদমে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ট্যাবের মাধ্যমে সকল বয়সের নারী-পুরুষদের তথ্য সংগ্রহ করছেন। এর মাঝে মাধবপুর উপজেলায় এ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সেভ দ্যা চিলড্রেন কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, মা-মনি এইচএসএস প্রকল্পের সহায়তায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর এ প্রজেক্টটি পরিচালনা করছে। তারা জানিয়েছেন, হবিগঞ্জে ২৪ লাখ মানুষ এ সেবা পাবে। এ পর্যন্ত মাধবপুর উপজেলার ৩ লাখ মানুষ এই কার্যক্রমের রেজিস্ট্রেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। রেজিস্ট্রেশনের ৯২ শতাংশ লোক কার্ড পেয়েছেন। এছাড়া গত ১ জুন থেকে জেলার ৮টি উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুচিন্ত চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরণের একটি কার্যক্রম হবিগঞ্জে চলছে বলে শুনেছি। তবে সিভিল সার্জন কার্যালয় এটা মনিটরিং করছে না। এটা মনিটরিং করছে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৭
জিপি