ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শেবাচিম হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত: শিশুসহ নার্স মুক্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৭
শেবাচিম হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত: শিশুসহ নার্স মুক্ত শেবাচিম হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত: আটকদের মুক্তি-ছবি: ‍বাংলানিউজ

বরিশাল: শিশু সন্তানসহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এক সিনিয়র স্টাফ নার্স ও তার স্বামীকে আটকের ঘটনার পর রাতে নার্সরা দুই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছে।

পাশাপাশি এসময় তারা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

পরে শিশুসহ স্টাফ নার্সকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

এর আগে রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বরত ৭৭ জন নার্সসহ শতাধিক নার্স কর্মবিরতি করে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্সিং কার্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।

এসময় তারা অসুস্থ আট মাসের শিশুসহ সিনিয়র স্টাফ নার্স এলিজা বেগমের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।

নার্সেস সংগঠন স্বানাপ বরিশাল মেডিকেল কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার বলেন, দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স এলিজা বেগম তার আট মাসের হামে আক্রান্ত শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালের বহিঃবিভাগে আবাসিক চিকিৎসক ফায়জুল হক পনিরের কাছে যান।

দ্রুত চিকিৎসার সেবা পাওয়াকে কেন্দ্র করে এলিজার স্বামী শাহ আলমের সঙ্গে চিকিৎসকের ঝামেলা হয়। তবে এলিজার স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা হলেও এলিজার অসুস্থ সাত মাসের শিশু সন্তানসহ তাকে এবং তার স্বামীকে থানায় নিয়ে হাজতে রাখা হয়।

তিনি বলেন, আমরা দোষীর শাস্তি চাই। কিন্তু যে নিরপরাধ তার মুক্তি চাই। আর শিশু সন্তানটি অসুস্থ সে বেলা ২টা থেকে ৬ ঘন্টা ধরে বিনা চিকিৎসায় থানায় পরে রয়েছে যা অমানবিক।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ফরহাদ সরদার বলেন, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে আপাতত স্টাফ নার্স এলিজা বেগমকে তার শিশু সন্তানসহ ছেড়ে দিচ্ছি। তবে এলিজার স্বামী শাহ আলমের বিষয়ে হাসপাতাল প্রশাসন না বললে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

রাত ১০টার দিকে তিনি হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতালের নার্সদের কাছে এলিজাকে দিয়ে দেওয়া হবে।  বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, পাশাপাশি নার্সরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাও দিয়েছে।

এদিকে নার্সদের দুই ঘণ্টাব্যাপী কর্মবিরতির ফলে বেশ ভোগান্তিতে পরে হাসপাতালের হাজার হাজার রোগী।

ওই সময়ের মধ্যেই গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি রাহিমা বেগম নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের চাঁদকাঠি গ্রামের সোহাগের স্ত্রী।

ডিপ্লোমা নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন নেতা ও ব্রাদার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে থানা থেকে এলিজাকে নিয়ে এসে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে, তবে এর আগে রাত ১১ টা ১০ মিনিটে তার ৮ মাসের শিশু সন্তান সামিরকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতালে নার্সরা যার যার ওয়ার্ডে নিয়মানুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলা‌দেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৭
এমএস/এএটি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।