শনিবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে রোগী না দেখায় দুর্ভোগে পড়েছে রোগীরা। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সকাল থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ভিড় করে আছে।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তারা ডাক্তারের দেখা পাচ্ছেন না।
এদিকে রোগী না দেখলেও বহির্বিভাগে রোগী দেখার জন্য ঠিকই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রোগী ও তাদের স্বজনরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চিকিৎসক ও নার্সদের মধ্যে বৈঠক চলছে। বৈঠকে জেলা স্বাস্থ্যসেবা কমিটির সদস্য ও বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার মো. ইউনুস বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন।
সকালে হাসপাতালের বহিঃবিভাগের কোনো চিকিৎসক কর্মস্থলে না এসে পরিচালকের কার্যলয়ে অবস্থান নেন। সেই সময় থেকেই পরিচালক ও সংসদ সদস্যের সংঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বেলা ১২টা) বৈঠকটি চলছিলো।
এদিকে পরিচালকের কার্যলয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চললেও এর বাহিরে বিক্ষোভ করছে মেডিকেল কলেজ ছাত্ররা।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বহিঃবিভাগের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. ফাইজুল হক পনির সিরিয়াল ভঙ্গ করে নার্স এলিজার অসুস্থ্য শিশু সন্তানকে দেখবেন না বলে জানালে এলিজার স্বামী মো. শাহ আলম ভূইয়া ওই চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভের মুখে নার্স এলিজা ও তার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু রাতে নার্সরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করলে হামলাকারী নার্স এলিজাকে ৮ মাসের শিশু সন্তানসহ ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
এমএস/জিপি