বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল পরিচালকের আশ্বাসে এ তালা খুলে দেন তারা।
রোগীর স্বজনদের কাছে চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় উল্টো চিকিৎসদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে বিকেলে জরুরি বিভাগের গেটে তালা দিয়ে আন্দোলন করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ পরিস্থিতিতে বিকেল ৫টার দিকে সেখানে পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলামের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও ছাত্র প্রতিনিধিরা।
এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. কামরুল হাসান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন, ডা. শিরিন সাবিহা তন্নী, ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নাহিদ প্রমুখ।
বৈঠক শেষে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. রাজু আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (৭ আগস্ট) রোগীর স্বজন কর্তৃক হামলার শিকার হন চিকিৎসক ডা. সাইফুল আজম। পরে চিকিৎসকরা জানতে পেরে সেখানে গিয়ে হামলাকারী রোগীর এক স্বজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। হামলার শিকার চিকিৎসক ডা. সাইফুল আজম এ ঘটনায় থানায় মামলাও দায়ের করেন। কিন্তু, সেই হামলাকারীর স্বজনরাই আবার পাল্টা ওই চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার প্রতিবাদে চিকিৎসকরা জরুরি বিভাগে তালা দেয়। পরে ইন্টার্নদের সঙ্গে কথা বলে তালা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে কোন এ ঘটনায় কোনো চিকিৎসক কর্মবিরতিতে যাননি বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যায় বরিশাল নগরের সার্কিট হাউজে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে হামলাকারীদের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
হামলাকারীদের স্বজন কর্তৃক চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি ইন্টার্নদের। এখানে তাদের আল্টিমেটাম থাকলেও এখনো কোনো আন্দোলনের ডাক দেয়নি চিকিৎসরা।
** শেবাচিমের জরুরি বিভাগে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের তালা
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৭
এমএস/এসআরএস