মৃত নবজাতকের মা খাদিজাকে ঢামেক হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে রাখা হয়েছে।
খাদিজা আক্তার কুমিল্লার হোমনা উপজেলার আলগিরচর গ্রামের আউয়াল হোসেনের স্ত্রী।
খাদিজার মা আমেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার সময়েও মেয়ের আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিবেদনে চিকিৎসকদের মাধ্যমে জানতে পারি, খাদিজার পেটে জমজ সন্তান রয়েছে’।
‘গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাদিজাকে নিয়ে যাই কুমিল্লার গৌরীপুরের লাইফ কেয়ার ক্লিনিকে। ওইদিনই সিজারের মাধ্যমে তার একটি মেয়ে সন্তান হয়’।
‘তখন আমরা ক্লিনিকের চিকিৎসক শেখ হোসনেয়ারাকে খাদিজার পেটে জমজ বাচ্চা আছে জানালে চিকিৎসকরা জানান, খাদিজার পেটে বাচ্চা একটিই। অন্যটি টিউমার’।
খাদিজার মা আমিনা বেগম আরো বলেন, ‘চারদিন ভর্তি রাখার পর ক্লিনিক ছাড়পত্র দিলে খাদিজাকে বাসায় নিয়ে যাই। এর কয়েকদিন পর থেকে তার আবারও সমস্যা দেখা দেয়। ১৫ দিন পর আবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানতে পারি, খাদিজার পেটে আরেকটি বাচ্চা রয়েছে’।
এরপর রোববার (২২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে সন্তান বের করা হয়’।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, 'রোববার (২২ অক্টোবর) ওই অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সোমবার সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার পেট থেকে একটি মৃত ছেলে সন্তান বের করেন। তার জরায়ুর বাইরে বাচ্চাটি মৃত অবস্থায় ছিলো। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের পোস্ট অপারেটিভে চিকিৎসাধীন ও ভালো আছেন। '
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এজেডএস/এএটি/এএসআর