গবেষকরা বলছেন ভিটামিন-ডিতে এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান বিদ্যমান। এ উপাদান পোড়া ত্বকের ইনফেকশন রোধ করে এবং দ্রুত সেরে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যুক্তরাজ্যের দু’জন গবেষক জ্যানেট লর্ড ও খালেদ আল-তারাহ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পোড়া রোগীদের উপর ভিটামিন-ডি’র প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন। দেখা যায়, যেসব রোগীর ক্ষেত্রে বেশি মাত্রায় ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্টারি ব্যবহার করা হয়েছে, তারা অনেক দ্রুত সেরে উঠেছে। দহনজনিত জটিলতাও তাদের মধ্যে কম দেখা গিয়েছে।
পোড়া ত্বকের জন্য ভিটামিন-ডি সাপ্লিমেন্টারি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তা গ্রহণের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হিসেবে ভিটামিন-ডি যুক্ত খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কিছু কিছু খাবার আছে, যেগুলোতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ছাড়াও উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি বিদ্যমান। এগুলো হলো-
১। মাশরুম
মাশরুম ভিটামিন-ডি’র একটি আদর্শ উৎস। বিভিন্ন তরকারির মধ্যে মাশরুম ব্যবহার করলে তা যেমন স্বাদে উন্নত হয়, একই সঙ্গে তরকারির পুষ্টিগুণও বাড়ে। এছাড়াও মাশরুম সিদ্ধ করে বা ভেজে খাওয়া যেতে পারে।
২। পনির
পনির একটি মজাদার খাবার। একই সঙ্গে পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ডি। কাঁচা পনিরে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ তুলনামূলক বেশি থাকে।
৩। মাছ
সব মাছেই ভিটামিন ডি বিদ্যমান। বিশেষ করে চর্বিযুক্ত মাছ, যেমন- স্যামন, সার্ডিনস, টুনা, ম্যাককেরেল ইত্যাদিতে ভিটামিন-ডি’র পরিমাণ বেশি। দৈনিক ভিটামিন-ডি চাহিদার ৫০ শতাংশ পূরণ হতে পারে একটি টুনা মাছের স্যান্ডউইচ।
৪। ডিম
ভিটামিন-ডি গ্রহণ করতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম উভয়ই খাওয়া জরুরি। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ কোলেস্টেরল রয়েছে, তাদের ডিমের কুসুম খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
৫। সয় দুধ
শক্তি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান প্রদানে সয় দুধ দারুণ এক পানীয়। উদ্ভিদজাত দুধের মধ্যে সয় দুধ অন্যতম। সয়াবিন ভিজিয়ে, পিষে এবং সিদ্ধ করে সয় দুধ বানানো হয়। এই দুধে গরুর দুধের সমপরিমাণ ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। এছাড়াও এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি ও আয়রন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এনএইচটি/এএ